মোঃ এমদাদুল হক, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৃত্যুর দিনটা কেমন হবে?
কবরের প্রথম রাতটা কিভাবে কাটাবো?
জান্নাত, জাহান্নামের কোনটি আমার অপেক্ষায় আছে?
আল্লাহর সামনে দন্ডায়মান হওয়ার পর আল্লাহ তাআলার নিকট নাফরমানির ব্যাপারে কি জবাব দিব?
আমার আমল মিজানের পাল্লাকে কোনদিকে ঝুকাবে?
পুলসিরাত কিভাবে পার হবো?
হাশরের মাঠে উত্তপ্ত ময়দানে ছায়ার ব্যবস্থা হবে কি?
কাওসারের পানি কি পান করার সুযোগ পাব?
আমি কে? দুনিয়াতে কেন? আমার গন্তব্য কোথায়?
এই প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে আমাদের কি কোনো চিন্তা ভাবনা আছে? কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
দুনিয়ার জীবনের আমোদ প্রমোদের মাঝে এই প্রশ্ন গুলো ভুল করে হলেও নিজেকে করুন, উত্তর খুঁজার চেষ্টা করুন।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন,
১) প্রতিটি প্রাণী মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর ‘অবশ্যই কিয়ামতের দিনে তাদের প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে দেয়া হবে। সুতরাং যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে সে-ই সফলতা পাবে। আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোঁকার সামগ্রী। (সূরা আলে-ইমরান:১৮৫)
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
২) তোমরা জীবনের স্বাদ ধ্বংসকারী মৃত্যু কে বেশি পরিমাণে স্মরণ করো। (তিরমিজি:২৩০৬)
৩) মৃত্যু আসার আগেই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও।(আল-মুস্তাদরিক:৮৯৪৯)
৪) মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান তারাই যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে। (ইবনে মাজাহ:৪২৫৯)
৫) সেই ব্যক্তি বুদ্ধিমান যে নিজের নাফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের জন্য কাজ করে। (তিরমিজি:২৪৫৯)
৬) উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন,
হিসাবের সম্মুখীন হওয়ার পূর্বেই তোমরা নিজেদের কৃতকর্মের হিসাব নাও এবং মহা সমাবেশে হাযির হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। যে ব্যক্তি দুনিয়াতে তার হিসাব-নিকাশ নেয়, কিয়ামাতের দিন তার হিসাব অত্যন্ত হালকা ও সহজ হবে।
৭) মাইমূন ইবনু মিহরান বলেন,
কোন ব্যক্তি খাঁটি মুত্তাকী হতে পারবে না যে পর্যন্ত না সে আত্মসমালোচনা করবে।
৮) কা’ব আল আহবার রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
মৃত্যুর পরিচয় যে উপলব্ধি করে, পার্থিব জীবনের বিপদ-আপদ ও দুশ্চিন্তা তার কাছে তুচ্ছ হয়ে যায়। (হিলইয়াতুল আউলিয়া:৬/৪৪)
আসুন সম্ভাব্য মহাবিপদ এর ব্যাপারে আমরা সতর্ক হই ।।