নিউজ ডেস্ক:
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছিলেন প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করে ভর্তি করা হবে। এর ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা মহানগরীর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র বিতরণ করতে চায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।
বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর লটারি করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর এমন প্রস্তাব দিয়েছে মাউশি। আর লটারির কাজটি হবে অনলাইনে সফটওয়্যার ব্যবহার করে।
মাউশির কর্মক’র্তারা বলছেন, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন মিললে সবাইকে সময়সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় জানিয়ে দেওয়া হবে। তখন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোও কী’ভাবে নিজস্ব ব্যবস্থায় আবেদনপত্র বিতরণ ও লটারির কাজটি করবে, সেটাও জানিয়ে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ঢাকার বাইরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোর বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গো’লাম ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, খুব শিগগির আবেদনপত্র বিতরণ শুরু করা হবে।’
ঢাকা মহানগরীর ভেতরে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয় যু’ক্ত হচ্ছে। এসব বিদ্যালয়গুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি হয়ে থাকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিদ্যালয়গুলোকে এ, বি এবং সি মোট তিনটি ভাগে ভাগ করে ভর্তির কাজ করা হবে। একজন শিক্ষার্থী একটি ভাগের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।
মাউশির একজন দায়িত্বশীল কর্মক’র্তা বুধবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেন, টেলিট’ক সিমের মাধ্যমে অনলাইনে ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন যাবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনেই লটারির কাজটি করা হবে, এতে সময় কম লাগবে। এ কারণে ৩০ ডিসেম্বর একদিনেই সব কটি বিদ্যালয়ের লটারির প্রস্তাব করা হয়েছে। এরপর নির্বাচিত বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে শিক্ষার্থীরা। ঢাকার বাইরের সরকারি বিদ্যালয়গুলোতেও অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে জানা গেছে, লটারির স্বচ্ছতায় বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ভর্তিতে যে কোনো ধরনের অনিয়ম এড়াতে তিন স্তরের কমিটি কাজ করবে। এ ছাড়া স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষক ও অ’ভিভাবক প্রতিনিধি আলাদাভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া দেখভাল করবে।ল