মোঃ সজীব মোল্লা
(মনপুরা ভোলা প্রতিনিধি)
ভোলার মনপুরায় দিন দিন করোনা ঝুকি বেড়ে চলছে, জুলাই মাসের ১২তারিখ থেকে ২ লা আগষ্ট দুপুর পযার্ন্ত ২৪৯জন টেষ্ট করে ৬৪ জনের করোনা পজেটিভ হয়।
গত এক সাপ্তাহ রিপোর্টে দেখা গেছে যাদের টেষ্ট করা হয়েছে তাদের প্রায় গড়ে ৪৫% লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবস্থা ও নাজুক, যথাযথ ভাবে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না,করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা।
করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ও পাচ্ছে না খাবার। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দেখাশোনা করেন একজন ওয়ার্ডবয়। তাছাড়া যে সব আক্রান্ত রোগী সেম্পল কালেকশনে পজেটিভ হয় তাদের ও নিদিষ্ট জায়গায় রাখা হয় না। যে যার মত করে থাকছে, তাদের বাড়ীতে। হাসপাতালের থেকে তাদের কোন দেখাশোনা করা বা খোঁজখবর রাখা হয় না।
হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কোন রকমের চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ পাচ্ছে না করোনা আক্রান্ত ভর্তি রোগীগুলো। তাদের মতে হাসপাতালে না থেকে বাড়ীতে গিয়ে থাকা অনেক ভালো। হাসপাতালের কর্তৃক পক্ষ উদাসিনতার পরিচয় দিচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের খাবার বলতে সকালে রুটি, কলা ২টি ডিম দুপুরে ১টা আপেল বা মালটা রাতে কোন খাবার দিচ্ছে না। তাই তারা নিজেরা বাড়ি থেকে খাবার আনতে হয়। হাসপাতাল থেকে একটা ঝাড়ুও দেয় না পরিষ্কার পরিচন্নতায় জন্য, ময়লা রাখার জন্য পাত্র দিয়ে যায় নাই হাসপাতাল থেকে। রোগীদের সাথে থাকে আত্তীস্বজনরা, তারা ও থাকছে রোগীর মত করে খোলা মেলা। সাস্থ্য সচেতনা বলতে কোন কিছু নেই। তাদের মতে, আমাদের দেখতে ও আসেনা কেউ। আমরা কি খায়, আমাদের কি লাগবে তা তারা বলতে পারবেনা, আমরা তাদের বললে তারা কাগজে লিখে দেয় আমরা গিয়ে কিনে আনতে হয়।
এই ব্যাপারে মনপুরা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রাসেল আহম্মেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের জনবলের অনেক অভাব এবং ৩জন ডাক্তারগন করোনা আক্রান্ত, নতুন করে একটি কমিটি করে সংক্রমণের উত্তরনের চেষ্টা করবো।
এই অবস্থায় চলতে থাকলে সারা বাংলাদেশে মধ্যে মৃত্যুপুরী হতে পারে মনপুরা নামক উপজেলাটি। এছাড়াও উপজেলা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের দেখাশোনা করার জন্য রয়েছে একটি মনিটরিং দল। তাদের ও কোন খোঁজখবর নেই। হরহামসায় চলছে নৌযান ও স্পীড বোর্ড, রোডে চলছে, হুন্ড গাড়ী, রিক্সা, অটোরিক্স।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামিম মিঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিয়মিত অভিযানে যাই, জেল জরিমানা ও করি, মনপুরা সচেতনায় এখনো ও অনেক অভাব। যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে সামনে দিকে আমরা আরো ও কঠোর হবো সচেতনায় সৃষ্টির লক্ষে।