সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আট দিন ধরে পিসিআর মেশিন বিকল হয়ে আছে। ফলে এ মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর মেশিনে করোনা পরীক্ষা আপাতত বন্ধ রয়েছে।
এদিকে একটি নতুন পিসিআর মেশিন চেয়ে ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আগামি আগস্টের আগে নতুন পিসিআর মেশিন স্থাপন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনা পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের তেতুঁইবাড়িতে অবস্থিত শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ঢাকার মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল কাদের জানান, একটি পিসিআর মেশিনের তিনটি পার্ট থাকে এর মধ্যে কয়েকদিন ধরেই বায়োসেপ্টিক কেবিনেটে ল্যামিনার ফ্লু যন্ত্রটিতে সমস্যা দেখা দেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানানো হলে একটি বিশেষজ্ঞ দল গত ২৭ জুন ল্যাব পরিদর্শন করে হাসপাতালে এসে বায়োসেপ্টিক কেবিনেট পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়। পরদিন নমুনা পরীক্ষার কাজ চলাকালে মেশিনটি পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়ে। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভান্ডারে কোন বায়োসেপ্টিক কেবিনেটর নেই। আমদানী করা মেশিন দেশের পথে জাহাজে আছে। তাই আগষ্টের আগে মেশিন চালুর সম্ভাবনা নেই জানানো হয়েছে অধিদপ্তর থেকে।
তিনি জানান, ল্যাবে বিভিন্ন শিফটে ৬ জন চিকিৎসক, ৭ জন টেকনিশিয়ান এবং ৭ জন কর্মচারী কাজ করেন। ল্যাবটিতে ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। ল্যাবে কাজ করার সময় ডাক্তার-টেকনেশিয়ান ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে সংক্রমিত না হয়ে পড়ে তা রোধে কাজ করে বায়োসেপ্টিক কেবিনেট। আগস্টে আরো একটি নতুন পিসিআর মেশিন যুক্ত হলে দুটি পিসিআর মেশিনে গাজীপুরে প্রতিদিন ৩৭০জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. খায়রুজ্জামান জানান, গাজীপুরে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০টির মত নমুনা পরীক্ষা হয়। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেশিন নষ্ট হওয়ায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ল্যাব ও ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।