মোঃ সিরাজুল মনির ব্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বাংলাদেশের প্রথম সড়ক সুড়ঙ্গপথ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর দ্বিতীয় টিউবের স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
গত শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এই টানেলের দ্বিতীয় ও শেষ টিউবের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ জানান, শনিবার আনোয়ারা প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম প্রান্তে বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউব নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্তে নির্মাণ করা প্রথম টিউব থেকে ১২ মিটার দূরে নির্মাণ করা হবে দ্বিতীয় টিউব। দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ হলে এই টানেলের ৪ লেন দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে।
এ টানেল চালু হলে পর্যটন নগরী কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। পাশাপাশি কর্ণফুলীর দুই সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ কমবে। ব্যবসা বানিজ্য প্রসার ঘটাতে এ টানেলের ভূমিকা অপরিহার্য।
সরকার বলছে, বন্দরনগরী চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের আদালে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে গড়েতোলা হবে কর্ণফুলীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে।
কর্নফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বেইজিংয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
তিন দশমিক চার কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেইনের এ টানেল হবে দুই টিউব সম্বলিত। পশ্চিম প্রান্তে ৭৪০মিটার এবং পূর্বে চার হাজার ৯৫২ মিটার এপ্রোচ রোড থাকবে।
টানেলের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৫ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় তা আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার যোগান দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক।
বাকি ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে। প্রকল্পবাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রান্ত থেকে আনোয়ারা প্রান্তে ১২ মিটার ব্যাসের একটি টিউব স্থাপনের কাজ শেষ করার পাশাপাশি টানেলের দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।