সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
উপজেলার সফিপুর হয়ে মাজুখান লস্করচালা আঞ্চলিক সড়কের নওপাইকা এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কটির সংস্কার কাজ দীর্ঘ দেড় বছরেও শেষ হয়নি। ফলে ওই অঞ্চলের প্রায় ২৪ গ্রামের শত শত গ্রামবাসী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ সড়কের আধা কিলোমিটার সড়কটির কাজ সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে বারবার তাগিদ দিলেও কাজে হাত দিচ্ছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন এন্টারপ্রাইজ।গত দেড় বছর আগে সফিপুর থেকে মাজুখান- লস্করচালা বাজার পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজের টেন্ডার দেওয়া হয়। পরে ডলি কনস্ট্রাকশন এন্টারপ্রাইজ কাজটি পায়। ওই প্রতিষ্ঠান কাজটি পাওয়ার পর সড়কের বেশিরভাগ কাজ শেষ করার পর মাজুখান পান্ডার মিল থেকে লস্করচালা বাজার এলাকা পর্যন্ত আধা কিলোমিটার সড়ক বাদ রেখেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে ওই সড়কে আশপাশের ১০ গ্রামের শত শত গ্রামবাসী শহরে কাঁচা পণ্য ও ভারী মালপত্র বহন করতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।পান্ডার নামক জুতা তৈরির কারখানার সামনে থেকে লস্করচালা বাজার পর্যন্ত সড়কটি নিচু থাকায় সংস্কার কাজে মাটি ভরাট করে সড়কটি উঁচু করে কার্পেটিং করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুই পাশের নিচু জমি থেকে মাটি কেটে শিডিউল মোতাবেক উঁচু না করেই কাজ বন্ধ করে দেন। গত বর্ষায় এ সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়াও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার চলতি বছরের বর্ষা মৌসুম আগমনের বার্তা এলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ করার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ফলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এ বছরও গত বছরের মতো চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।এই সড়কের ছয় কিলোমিটার ২০০ গজ পর্যন্ত মেরামত কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। কিন্তু সফিপুর থেকে মাজুখান শেষ মাথা পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের কাজ করলেও নওপাইকা এলাকার আধা কিলোমিটার সড়কটিতে কাদামাটি ফেলে রাখা হয়েছে। এতে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ২৪ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।কালিয়াকৈর প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সরকার সাজ্জাদ কবীর জানান, ওই সড়কের বাকি কাজটুকু ডলি এন্টারপ্রাইজের মালিক নাসির উদ্দিনকে বারবার তাগিদ দেওয়ার পর শেষ করেনি। ফলে তাকে এ পর্যন্ত কোনো বিল পরিশোধ করা হয়। ইতোমধ্যে কাজটি শেষ করার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে আবার তার কাজের অনুমতি বাতিলের জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।