সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
বিশেষ লকডাউনের প্রথম রাতের শেষে হঠাৎ বদলে গেছে কালিয়াকৈরে দৃশ্যপট।মহাসড়কে দেদারসে ছুটছে ত্রিচক্রযান।তাদের পাশ দিয়ে ছুটছে ব্যক্তিগত গাড়ি-মোটরসাইকেল ও জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত যান।তবে রিকশার দাপটে তারাও কিছুটা কুপোকাত।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) লকডাউনের প্রথমদিন সকাল থেকে কালিয়াকৈরের মৌচাক,সফিপুর,আনসার একাডেমি,এপেক্স এলাকা,পল্লীবিদ্যুৎ,চন্দ্রা,খারাজোড়া, কালিয়াকৈর ঘুরে এ দৃশ্য নজরে পড়ে।সেসঙ্গে এসব সড়কে নজরে পড়েনি দুটির বেশি কোনো চেকপোস্ট।গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে ব্যাংকসহ জরুরি যেসব অফিস খোলা রয়েছে,তাদের কর্মীরা পড়েছেন বিপাকে।দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়েও তারা পরিবহন পাননি।অনেকেই পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছিলেন গন্তব্যে।গণপরিবহনমুক্ত সড়কে রিকশার আধিপত্য থাকলেও,বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য সেটি পর্যাপ্ত ছিলো না।রিকশাওয়ালারা ভাড়াও হাঁকছেন অনেক বেশি।অনেক রাস্তায় ভ্যানে করেও মানুষকে অফিসে যেতে দেখা গেছে।এর পাশাপাশি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করেও অনেকে অফিসে গিয়েছেন।
সরকারি বিধিনিষেধে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে।কিছু কারখানার শ্রমিকবাহী বাস চলাচল করলেও তারা সাধারণ যাত্রীদের উঠাচ্ছে না।এ কারণে অটোরিকশায় যাতায়াত করছে মানুষ।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে অটোরিকশায় করে যাত্রীরা যাচ্ছেন টাঙ্গাইলের বাইপাস পর্যন্ত।অবশ্য এর জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
আজ মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে যাত্রী ও অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,চলমান লকডাউনে কয়েক দিন ধরে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, ভাড়ায় চালিত প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে করে লোকজন যাতায়াত করছেন।কিন্তু আজ সকাল থেকে পুলিশি তৎপরতায় তাঁরা চলাচল করতে পারছেন না।
এ ছাড়া পুলিশের মামলার ভয়ে ট্রাক ও পিকআপের চালকেরা যাত্রী নিচ্ছেন না।মহাসড়কে বেড়ে গেছে অটোরিকশার সংখ্যা।অটোরিকশাগুলো চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে টাঙ্গাইল বাইপাস পর্যন্ত যাচ্ছে।এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ী,কড্ডা, নাওজোড় হয়ে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচল করছে।এ সুযোগে অটোরিকশার চালকেরা ভাড়া আদায় করছেন কয়েক গুণ বেশি।
কালিয়াকৈর উপজেলার বিশ্বাস পাড়া এলাকার ছেলের ভাড়া বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন আতাউর রহমান।তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামে।কঠোর লকডাউনের কথা শুনে গাড়ি না পেয়ে অটোরিকশায় যাচ্ছেন টাঙ্গাইলে।এ জন্য তাঁকে গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা ভাড়া।আতাউর রহমান বলেন, টাঙ্গাইলে নেমে সেখান থেকে যাবেন সিরাজগঞ্জে।
অটোরিকশাচালক মাহবুব মিয়া বলেন, ‘আমরা সাধারণত মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত যাই।কিন্তু অনেক সময় যাত্রীদের জোরাজুরিতে দূরে যেতে হচ্ছে।রাস্তায় গাড়ি কম থাকায় আমাদের দূরের রাস্তায় চলতে সমস্যা হচ্ছে না।
সালনা(কোনাবাড়ি)হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর গোলাম ফারুক বলেন,”গণপরিবহন বন্ধ আছে।কোনো ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না।শুধু পণ্যবাহী যানবাহন চলছে।”