সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে সারা বাংলাদেশের ন্যায় ঢাকা -টাঙ্গাইল মহাসড়কে ম্যাজিষ্ট্রেট,হাইওয়ে,জেলা ও থানা পুলিশের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। সরকারের বিধি-নিষেধ না মানায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গতকাল সকালে চারটি দোকানে জরিমানা করা হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১ জন। করোনায় শনাক্তের সংখ্যা ১৩১৮ জন এবং চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১৬৩ জন।
মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে চলাচলরত লোকজন ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দেশে দিন দিন করোনা ভাইরাস লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে সারা দেশে গত বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ কঠোর লকডাউনে মানুষকে ঘরে রাখতে ম্যাজিষ্ট্রেট, হাইওয়ে, জেলা ও থানা পুলিশের পাশাপাশি মাঠে নামানো হয়েছে সেনা বাহিনীও। এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অকারণে ঘর থেকে বের হলে গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তি দেয়ার কথা উল্লেখ আছে। ফলে সড়ক-মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকলেও দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশা, নসিমন। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বহন করা হচ্ছে গাদাগাদি যাত্রী। কিন্তু শিল্প-প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় যানবাহন না পেয়ে চরম দুভোর্গে পড়েছেন শ্রমিকরা। এদিকে মানুষকে ঘরে রাখতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ম্যাজিষ্ট্রেট, হাইওয়ে, জেলা ও থানা পুলিশের পাশাপাশি ১৮ ইস্ট বেঙ্গল সাভার সেনা নিবাসের সেনা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়েছে গাজীপুর জেলা, থানা ও হাইওয়ে পুলিশ। এসময় পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলেই তাঁকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার যানবাহন। এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকায় সকল শপিংমল বন্ধ রয়েছে। বাস ট্রার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো যানবাহনও।
সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) মীর গোলাম ফারুক জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলেই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা বিভিন্নভাবে কাজে যাচ্ছেন।
অপরদিকে সকালে গাজীপুর জেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিলিমা রায়হানার নেতৃত্বে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রি-মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সরকারের বিধি-নিষেধ না মানায় চারটি দোকানে জরিমানা করা হয়। প্রত্যেকটি দোকানে ১ হাজার টাকা করে মোট চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিলিমা রায়হানা জানান,”বিধি-নিষেধ না মানায় চার দোকানে জরিমানা করা হয়েছে। সরকারের সাত দিনের লকডাউনে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”