বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়ঃনবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রতিনিধি।
টেহা নিবার বেলা তো ঠিকই নিতা পারো, অহন দিতা না ক্যারে?দিতা গেলেই যত তালবাহানা! ট্যাহা বাইর করো….
গ্রাহকের কাছে গিয়ে এভাবেই হুংকার দেয় কিস্তির স্যারে।
গ্রাহক লজ্জায় কিছু বলতে পারেনা… মাথা নিচু করে ভাবে, করোনায় কামকাজ তো বন্ধ, ইনকাম না থাকলে কিস্তি ক্যামনে দিমু! কিস্তির স্যারদের রাগ না দেখালে টাকা আদায় হয়না। সমিতির স্যারও এই কৌশল প্রয়োগ করে সোজা ঘরে ঢুকে কাপড়, চোপড় উল্টে পাল্টে, ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে ফেললেন।
শুরু হয় বাগবিতণ্ডা,বিষয়টি গড়ায় প্রশাসন পর্যন্ত। খবর পেয়ে নবীনগর উপজেলা প্রশাসন ছুঁটে যান ঘটনাস্থলে।সার্বিক বিষয়াদি অবগত হয়ে জরিমানা করেন এনজিও’র কর্মকর্তাদের।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে একটি এনজিও নবীনগরের কালঘড়া গ্রামে কিস্তি আদায় করতে গিয়ে বিনা অনুমতিতে গৃহে প্রবেশ করে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আলমারিসহ ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে।
অনুপ্রবেশ ও জোর করে কিস্তি আদায়ের
অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদেরকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করে। প্রথমবারের মত ক্ষমা চেয়ে এনজিও টির ম্যানেজারসহ প্রত্যেকেই এমন কাজ আর করবেনা মর্মে লিখিত মুচলেকা দিয়েছে।
সরকার করোনা কালীন সময়ে জোর পূর্বক কিস্তি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখা সত্বেও
করোনাকালীন এই দুঃসময়ে নবীনগরে আর কোথাও কিস্তি আদায়ের নামে কেউ বাড়াবাড়ি এবং অমানবিক আচরণ করলে তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর কথা বলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক। তিনি আরো বলেন উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।