তুহিনুর রহমান সোহাগ চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি দাখিল মাদ্রাসার কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, কুড়ুলগাছি দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সুনামধন্য চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ এনামুল করীম ইনুর বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার ঢাকা থেকে আগত ডিজি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বহুল আলোচিত কুড়ুলগাছি দাখিল মাদ্রাসার নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে খুব গোপনে নিয়োগ পরিক্ষা কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ে শুরু হয়। উক্ত মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ মোঃ এনামুল করীম ইনু বর্তমান কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজের খেয়াল খুশি মতো নিজের পছন্দ মতো অযোগ্য প্রার্থীর কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।জানাগেছে, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুড়ুলগাছি দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহ্ মোঃ এনামুল করীম ইনু নাম মাত্র মাদ্রাসাকে কয়েক কাঠা জমি দান করে দীর্ঘ দিন ধরে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ আঁকড়ে রেখেছেন। গোপনে একজন নেতার সাথে সে খুব গভীর সম্পর্ক রেখে চলেন, কিন্তু যে কোন বিষয়ে নাম ভাঙ্গিয়ে চলেন এলাকার সুনাম ধন্য এমপি মহোদয় ও তার সহোদর উপজেলার চেয়ারম্যান মহোদয়ের। মুখে নৌকা বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে চললেও অন্তরে একজন নেতার আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং জামাত বিএনপির এজেন্ট, নিজের খেয়াল খুশি মতো বিভিন্ন কাজে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নাম ভাংগিয়ে চলেন। উক্ত শাহ্ মোঃ এনামুল করীম ইনু চেয়ারম্যান নিজের স্বার্থের জন্য দুই দুই বার আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে একবার পরাজিত হলেও দ্বিতীয় বার নৌকা মার্কার প্রার্থীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচত হয়।উক্ত নিয়োগ বানিজ্যর কথা ফাঁস হলে মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ্ মোঃ এনামুল করিম ইনু বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক জন সাংবাদিককে ম্যানেজ করে খবরের কাগজে কোন সংবাদ প্রকাশ না হয় তার জন্য বহু দেন দরবার করে সফলতার পথ খুজে পান।অপরদিকে, কুড়ুলগাছি দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগে দুর্নীতি মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ বানিজ্যরের বিরুদ্ধে ফু্ঁসে উঠেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহ এলাকাবাসী।এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মহোদয় সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ সকলের কাছে এলাকাবাসী সহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির কয়েকজন সদস্য উক্ত নিয়োগ বাতিলের জন্য দাবী জানিয়েছেন।