এম এ আশরাফ, ভোলা:
ভোলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলা নিয়ে ভোলা-২ আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভোলা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল। তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে মাঠে ঘন ঘন যাতায়াত করছেন। গণসংযোগ করছেন এই দুই উপজেলাতেই। বর্তমান সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। প্রতি মাসে তিনি তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পাড়া মহল্লায় ছুটে যান। তিনি এলাকায় আওয়ামীলীগের সরকারের উন্নয়ন-কে আরও গতিশীল করতে প্রচার প্রচারণ নেমেছেন।
গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয়ী হয় আলী আজম মুকুল। বর্তমানে তিনি দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগের আস্থা এমপি মুকুল এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন এবং মানুষের বিপদে আপদে সুখে দুঃখে সব সময় পাশে ছিলেন বলে দাবি এলাকাবাসীর। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে সরাসরি ঘুরাফেরা করলেও কৌশলে মাঠে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে চায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ২০০১ সালে হাফিজ ইব্রাহিম এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী হয়ে। এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও লুটপাটের ঘটনার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা হারান সাবেক সাংসদ হাফিজ ইব্রাহিম। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও হাফিজ ইব্রাহিম দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কৌশলে পূর্বের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের হঠাৎ তোড়জোর নিয়ে নতুন করে রাজনীতিতে মৃদু উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। একজনের দেখাদেখি আরেক জন আসা শুরু করেছেন এলাকায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ওপর নির্ভর করবে রাজনীতির গতিপথ। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক বছর।