সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সারা দেশে গরু চোরের দৌরাত্ম্য বেড়েছে।সকল স্থানে গরু চুরির হিড়িক।তেমনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে গ্রামে প্রতি রাতেই গরু চুরির ঘটনা ঘটছে।এতে গ্রামবাসী ব্যাপক আতঙ্কে আছেন।অনেক কৃষক গোয়াল ঘরে গরুর সাথে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পাহারা দিচ্ছেন।
এরপরও বিভিন্ন কৌশলে সংঘবদ্ধ গরু চোরচক্র কৃষকের গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,গত সোমবার রাতে পৌরসভার বক্তারপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের দুইটি ও নুরুল ইসলামের দুইটি গরু চোরের চক্র নানা কৌশলে একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।ঐ দিন রাতে নুরুল ইসলাম রাত আড়াইটা পর্যন্ত রাত জেগে গোয়াল ঘরে পাহারা দেন।কিন্তু চোরের হাত থেকে গরু শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেনি।রাতের শেষ ভাগে চোররা একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে গোয়াল ঘরের একটি বড় তালা ও লোহার শিকল ভেঙে গরুচুরি করে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে,একই দিন রাতে পাশের এলাকা কালামপুরের মেছের আলীর বাড়ির তিনটি গরু গভীর রাতে একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।এসময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আনসার একাডেমির তিন নং গেইট এলাকার সামনে টহলরত পুলিশের সন্দেহ হলে পিকআপটি থামিয়ে তল্লাশি করে ভিতরে তিনটি গরু দেখতে পান।এ সময় পিকাপে থাকা গরু চোরের দুই সদস্য গাড়ি ফেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।পরে ঐ গরুর মালিক মেসের আলীকে তিনটি গরু পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপে ফেরত দেন।
বিগত দুইদিন আগেও সাহেবাবাদ এলাকার মনির হোসেন নামে এক কৃষকের ষাড় দুইটি চুরি করে একটি পিকআপ ভ্যানে করে পালিয়ে যায়।
গত ৯ মে রাতে উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের জহিরুল ইসলাম সিকদারের দুইটি গাভি চুরি করে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির লোকজন টের পান।কিন্তু ধাওয়া করেও পিকআপ ভ্যানটি আটক করতে পারেনি।
বক্তারপুর এলাকার গরুর মালিক নুরুল ইসলাম জানান,এলাকায় গরু চুরির হিড়িক পড়েছে।গরু চুরির আতঙ্ক থাকায় রাত আড়াইটা পর্যন্ত বড়ভাই গোয়াল ঘরে পাহারা দিয়ে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে যান।সকালে ঘুম থেকে উঠে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখেন গরু নেই।গরু চুরির বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি (অপারেশন)পারভেজ আহমেদ সেলিম জানান,চুর ধরে আমাদের জানান,”আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি যেয়ে পুলিশের পাহারা দেওয়া সম্ভব না।প্রত্যেকের গরু নিজেদের পাহারা দিতে হবে।আমাদের পুলিশ টহল আরও জোরদার করা হবে।”