সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার পিপড়াসিট এলাকায় বসতবাড়ি ও জমি দখলের চেষ্টায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হামলা চালিয়ে মা-মেয়েসহ ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।লুট করা হয়েছে আহত নারীদের স্বাণার্লংকার।
এ ঘটনায় শাহীন আলম বাদী হয়ে শনিবার (১ মে) কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আহতরা হলেন,কালিয়াকৈর উপজেলার পিপড়াসিট এলাকার আব্দুর রশিদের স্ত্রী জহুরা বেগম (৬০),তার মেয়ে রাবিয়া বেগম (৪০),নাতনি নাজমা বেগম (৩২),নাতিন ছাব্বির (১৮) ও নিশাত (১৮)।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,”কালিয়াকৈর উপজেলার পিপড়াসিট এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে শাহীন আলম তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও ঘর রেখে পাশে বোয়ালী এলাকায় জমি ক্রয় ও বাড়ি নিমার্ণ করে বসবাস করে আসছের।এ সুযোগে পিপড়াসিট এলাকার শাজাহান গং তার ঐ ফাকা ঘর ও জমি দখলের চেষ্টা করে।গত বৃহস্পতিবার রাতের আধারে শাজাহান তার সহযোগীদের নিয়ে শাহীন আলমের ফাঁকা ঘরের পাশে একটি ঘর তোলেন।খবর পেয়ে শাহীন আলম পরের দিন শুক্রবার সকালে স্থানীয় মাতব্বর ও সরকারি আমিন নিয়ে ওই জমি মাপামাপি করে।জমি মাপের শেষে আমিন ও মাতব্বররা চলে গেলে প্রতিপক্ষ শাজাহান ও তার সহযোগীরা রাম দা,বটি,লোহার রড নিয়ে সেখানে হামলা চালায়।হামলা চালিয়ে তারা জহুরা বেগম,তার মেয়ে রাবিয়া বেগম,নাতনি নাজমা বেগম,নাতিন ছাব্বির ও নিশাতকে এলোপাথারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।এসময় হামলাকারীরা নারীদের শরীরে থাকা প্রায় ১ লাখ ২২ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার লুট করে।তাদের চিৎকারের আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।”
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।আহতদের মধ্যে নাজমা বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি এখনো ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় শাহীন আলম বাদী হয়ে শনিবার কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত শাজাহান জানান,”ওই শাহীন আলম ও তার পরিবার আমার প্রায় ১০০ গাছ কেটে ফেলেছে।এতে বাধা দিতে গেলে উল্টো তারাই আমাদের মারধর করে।”
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)ভজন চন্দ্র রায় জানান,”এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”