সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ১৯ বছর বয়সী তরুন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দুলাল মিয়া হারিয়ে যায়।প্রায় দুই যুগ পূর্বে হারিয়ে যাওয়া বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মো.দুলাল মিয়া (৪৩)কে ফেসবুকের মাধ্যমে ফিরে পেয়েছে তার পরিবার।দীর্ঘ বছর পর পরিবারে ফিরে আসা প্রতিবন্ধী মো.দুলাল মিয়ার চোখে মুখে ছিলো পরিবারকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ।
পরিবারের কাছে ফিরে আসা মো.দুলাল মিয়া শ্রীপুর পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল খালেকে ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়,মো.দুলাল মিয়া নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে অনেক খোঁজাখোজি করা হয়।কিন্তু তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।একপর্যায়ে তাঁর পরিবার মনে করতো দুলাল আর বেঁচে নেই।বাবা ও মা ছেলের অপেক্ষায় পথ চেয়ে থেকে দু’জনই মৃত্যু বরণ করেছে।অবশেষে পরিবারের সদস্য চাচা আফসার উদ্দিনের কাছে ফিরে এসেছে প্রতিবন্ধী মো.দুলাল মিয়া।
আফসার উদ্দিন জানান,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রুপ এসএসসি ব্যাচ ১৯৯৩ এতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মো.সাদেকুল ইসলাম নামে এক সদস্য দুলালের পরিবারের সন্ধান চেয়ে গ্রুপে পোস্ট দেয়।এই পোস্ট শ্রীপুরের ৯৩ ব্যাচের গ্রুপ সদস্য স্বাস্থ্য সহকারী মো. রোকন উজ্জামানের নজরে এলে সেই পোস্ট তিনি শেয়ার করন।এরপর প্রতিবন্ধী যুবকের এক আত্নীয়ের নজরে আসে।তিনি আরোও জানায়,প্রতিবন্ধী যুবক নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল উপজেলার ৭নং নওয়াগাঁও ইউনিয়নের সদস্য মো.ফজলুল হকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
শনিবার (২২ মে) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে মো.দুলালের সংবাদে পরিবারের সদস্যরা ঐ ইউপি সদস্যের বাড়ি যান।(২৩ মে) রবিবার দুপুরে তাকে শ্রীপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
নওয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো.ফজলুর হক বলেন,”১৮ বছর পূর্বে প্রতিবন্ধী যুবক দুলাল মিয়া আমার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।আশ্রয় নেয়ার পর থেকে সে আমাকে চাচা বলে ডাকতো।এতে করে তার প্রতি আমার মায়া হয়। একে একে করে ১৮ টি বছর নিজের পরিবারের সদস্যদের মত আগলে রেখেছি।”
তিনি আরও বলেন,”দুলাল মিয়া ইউনিয়নের তেরহান্ডা,দন্না,নয়নতারা, ইমানহানি গ্রামে অবাধ বিচরণ করতো।পরিবারের হাতে দুলাল মিয়াকে তুলে দিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত।”