• রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম এনামুল হকের ইন্তেকাল মাধবপুরে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তার বিদায়ী সংবর্ধনা অন্যকে ইফতার করানোর সওয়াব ও ফজিলত মনপুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু,নানা মহলের শোক প্রকাশ! ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশ স্কুল বাহরাইনের উদ্যোগে মরহুম গোলাম রব্বানীর স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল বাহরাইনে আল হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন – জো বাইডেন চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবে – ব্লুমবার্গ

গাজীপুরে হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন করেছে গাজীপুর পিবিআই।

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ১২৩ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: মঙ্গলবার, ২৫ মে, ২০২১

সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)

 

গত ইং ০৩/০৮/২০২০ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় নাজমার(বাদী)ছেলে সোহান (১৪) নিজ বাড়ী হতে নিখোঁজ হয়।নাজমা(বাদী)তার ছেলেকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩১/০৮/২০২০ তারিখে লোক মুখে সংবাদ পায় যে,গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ী খালের ব্রীজ সংলগ্ন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে নামা জায়গায় ময়লার স্তুপের মধ্যে একটি ছেলে মানুষের কঙ্কাল পড়ে আছে।

 

কঙ্কালের পাশে একটা কালো রংয়ের ফুল প্যান্ট এর পোড়া অংশ বিশেষ,হালকা গোলাপী রংয়ের একটি ফুলহাতা পাঞ্জাবীর পোড়া অংশ বিশেষ,একটি প্লাষ্টিকের স্যান্ডেল এবং পোড়া কাপড় চোপড় ও জুতার অংশ বিশেষ দেখে কঙ্কালটি সোহান (১৪) বলে প্রতীয়মান হওয়ায় কিশোর সোহানের মা মোসাঃ নাজমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে অভিযোগ দিলে শ্রীপুর থানায় ৩১/০৮/২০২০খ্রিঃ তারিখে মামলা দায়ের হয়।

 

মামলাটি শ্রীপুর থানা পুলিশ প্রায় ০২ মাস তদন্ত কালে আসামী ১।মোঃ আজিজুল,২।মোঃ সাগর,৩। হৃদয় ও ৪। সবুজ নামে ০৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করলেও হত্যার কারণ উন্মোচিত হয়নি।

 

পুলিশ হেডকোয়াটার্স ঢাকার নিদের্শে মামলার তদন্তভার পিবিআই গাজীপুর জেলার উপর ন্যস্ত হয়।পিবিআই গাজীপুর জেলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সুমন মিয়া মামলাটি তদন্তকালে প্রাপ্ত কঙ্কালের ডিএনএ প্রোফাইলের সাথে বাদী ও তার স্বামী আব্বাছ আলী দ্বয়ের ফরেন্সিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি বাংলাদেশ পুলিশ,সিআইডি

মালিবাগ,ঢাকার প্রেরন করলে এই সংক্রান্তে প্রতিবেদন প্রাপ্ত হলে পর্যালোচনায় দেখা যায় ডিএনএ পরীক্ষায় সুদৃঢ়ভাবে প্রমানিত হয় যে,অজ্ঞাত মৃত দেহটি,বাদী নাজমা ও তার স্বামী আব্বাছ আলী যুগলের সন্তান।

 

পরবর্তীতে থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত হাজতী আসামী মোঃ সাগর (২০),পিতা-জামাল পুলিশ রিমান্ডে এনে নিবিড়ভাবে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।পুলিশ হেফাজতে আসামী সাগর ভিকটিম সোহান হত্যাকান্ডের বিষয়ে স্বীকার করে।এছাড়াও আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সোহান হত্যায় ব্যবহৃত চাকু’র (সুইচ গিয়ার)সন্ধান দেয়।পিবিআই উক্ত আসামীকে নিয়ে অভিযান করে তার দেয়া তথ্যমতে গত ২৩/০৫/২০২১ তারিখে উক্ত চাকু (সুইচ গিয়ার) উদ্ধার করে।

 

পরবর্তীতে উক্ত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করলে সে নিজেকে জড়িয়ে অপর আসামীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।আসামী মোঃ সাগর তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করে যে,”ভিকটিম ও ঘটনায় জড়িত আসামীরা পরস্পর বন্ধু।তারা একসাথে চলাফেরা করত।ঘটনার কিছু দিন পূর্বে সে ভিকটিম সোহানকে মারপিট করে।সোহান তার পিতাকে মারপিটের কথা বলে দেয়ায় তার পিতা আসামী সাগরকে ময়মনসিংহ মহাসড়কের আইল্যান্ডের গাছের সাথে বেধে জুতা ও লাঠি দিয়ে মারপিট করায় তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।এছাড়াও ঘটনায় জড়িত আসামী আজিজুলকে সোহানের বাবা ২০০পিচ ইয়াবা সহ পুলিশকে ধরিয়ে দেয়।আজিজুল ০৩ মাস জেল খাটে।এই জন্য তার মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।আসামীরা ঘটনার আগে সোহানকে হত্যার পরিকল্পনা করে।উক্ত পরিকল্পনা মোতাবেক ভিকটিম সোহানকে ডেকে এনে ঘটনাস্থলের পাশের জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে প্রথমে আসামী সাগর ভিকটিমের মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে,পরে আজিজুল চাকু দিয়ে বুকে আঘাত করে। পরবর্তীতে তারা ভিকটিমকে নিয়ে অত্র মামলার ঘটনাস্থল ময়লার স্তুপের মধ্যে চাপা দিয়ে চলে যায়।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌