সালাহ উদ্দিন সৈকত (গাজীপুর প্রতিনিধি)
হাইওয়ে রোড যতই বড় হোক তবুও যানযট যেন পিছুই ছাড়ছে না।এর অন্যতম প্রধান কারণ সার্ভিস রাস্তা ও ফুটপাথ দখল করে দোকান গড়ে উঠা,নির্মাণ সামগ্রী রাস্তায় রাখা এবং ভাংগারি মালামাল সহ যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং।ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুর চৌরাস্তার বাইপাস এলাকা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত দুই পাশের সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। ফলে সার্ভিস লাইন দিয়ে রিকশা ও ছোট যানবাহন চলাচলের কথা থাকলেও কোনোমতে চলাচল করতে পারছে না। ফলে রিকশাযাত্রী ও ছোট যানবাহনের চালকরা প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। দখলদাররা ওই সড়কের ওপর ভাঙাড়ি মাল ও ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে যানজটের সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর অংশের চন্দ্রা ত্রি-মোড়,পল্লী বিদ্যুৎ, মৌচাক, সফিপুর, দোকানপাড়, খাড়াজোড়া, কালিয়াকৈর বাইপাস, সূত্রাপুর, কোনাবাড়ী, কড্ডা, বাইমাইলসহ বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মালপত্র ও পণ্যবাহী যানবাহনের দখলে রয়েছে মহাসড়কের সার্ভিস লাইনগুলো।বাইমাইল এলাকায় দেখা গেছে,সালনা-কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার সামনে সার্ভিস রোড ও ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছে আটক শত শত রিকশাসহ নানা ধরনের যানবাহন। ফলে ওই সড়কের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়াও দুস্কর। সার্ভিস লাইন দিয়ে রিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে।বেশিরভাগ এ মহাসড়কের দুই পাশের ফুটপাত ও সার্ভিস লাইনের কয়েক কিলোমিটার অংশ দখল করে গড়ে উঠেছে ফলের দোকান, জামাকাপড়, গাড়ির গ্যারেজ, জুট গুদাম, রেন্ট-এ কারসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দুই পাশের সার্ভিস রোড দখলে থাকায় ছোট যানবাহনগুলো বাধ্য হয়ে প্রধান সড়কে চলাচল করে। ফলে হরহামেশা ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ী হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশে মহাসড়কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপনা বসিয়ে মাসিক চাঁদা আদায় করে যাচ্ছে। এসব স্থানে হাইওয়ে পুলিশের অবাধ চলাচল থাকলেও কোনো নজরদারি নেই।সড়ক দখল করে থাকা অবৈধ এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনান,পুলিশকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা চালাতে হচ্ছে।রিকশাচালক খলিলুর রহমান, আসাদুল হক, আব্দুর রহিম পাটোয়ারী জানান, সার্ভিস লাইনগুলো বন্ধ করে দোকানপাট বসানো ও ভাঙাড়ির মাল ফেলে রাখায় বাধ্য হয়ে মহাসড়কে যেতে হচ্ছে। আর মহাসড়কে উঠলেই হাইওয়ে পুলিশ রিকশা,অটোরিকশা, ইজিবাইক আটকে দিচ্ছে। আবার অনেক অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়েও দিচ্ছেন।সালনা-কোনাবাড়ী হাইওয়ে থানার ওসি মীর মো. গোলাম ফারুক জানান,যারা সার্ভিস রোড দখলে রাখেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কোনাবাড়ী থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওইসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।