সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইউনিসন নীট কম্পোজিট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা হামলা হতে জামাল উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৃত রজব আলীর স্ত্রী মোছাঃ হালিমা (জামাল’র মা)।
শুক্রবার (৭-ই মে)সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে তাহার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম.সানোয়ার হোসেন,গাজীপুর ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবগলীগের সভাপতি মোঃ আলম সরকার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে মোছাঃ হালিমা অভিযোগ করে বলেন,ইউনিসন নীট কম্পোজিট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইদুজ্জামান ভূইয়া,ইউনিসন নীট কম্পোজিট লিঃ এর চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা,মৃত রজব আলীর ছেলে আবুল কাশেম,আমার ছেলে জামাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ২০৭ শতাংশ জমি বিগত(২৯ আগষ্ট ২০১৭)তারিখে ১২৩৭৮ নং দলিল মূলে ও বিগত (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯) তারিখে ১৩৫৫১ নং রেজি: সাব কবলা দলিল মূলে খরিদ করে।মোট মূল্য হইতে কিছু টাকা নগদ করে এবং বাকি ১,০৮,১৮০০০ টাকা (এক কোটি আট লক্ষ আঠারো হাজার)টাকা তাহাদের কোম্পানির নামের জনতা ব্যাংক এর চেক,যার হিসাব নং ০১০০০৮৫৪৭৮২৫১,চেক নং সিডিবি ৮৫২৯০৮০,সিডিবি ৮৫২৯০১,সিডিবি ৮৫২৯০৮২, সিডিবি ৮৫২৯০৮৩,সিডিবি ৮৫২৯০৮৪ প্রধান করে।অতঃপর ব্যাংকে টাকা না পাইলে চেক ডিজঅনার হয় এবং পরবর্তীতে আমার ছেলে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত,গাজীপুরে আমি ৫টি সিআর মামলা দায়ের করি।যাহার মামলা নং ৬৩৬/১৯,৬৫৯/১৯,৭১৪/১৯, ৭৫৩/১৯,৭৭২/১৯।উক্ত মামলা গুলো বর্তমানে বিচারাধীন আছে এবং একটি মামলায় আমার ছেলের পক্ষে রায় ডিগ্রি হয়েছে।
উল্লেখ্য সাইদুজ্জামান ভূইয়া এবং তার স্ত্রী বর্তমানে কর্ণেল পদে কর্মরত আছে।তাদের উল্লেখিত দাপটে আমাকে হেনস্তা সহ হয়রানি করার উদ্দেশ্যে একের পর এক ষড়যন্ত্র সহ হুমকি দেওয়ার প্রেক্ষিতে আমার ছেলে শ্রীপুর থানায় বিগত (২০ মার্চ ২০২০) ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়রি করি,যাহার ডায়রী নং ১১২৩ এবং বিজ্ঞ আদালত গাজীপুরে পিঃ মোঃ নং ৯৬০/২০ দায়ের করি।এমন অবস্থায় সাইদুজ্জামান ভূইয়া টাকা ফেরত দিতে হইবে বলিয়া এবং হেরে যাওয়ার ভয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে জেল হাজতে রেখে হয়রানি করার জন্য অকারণে সময় অসময়ে পুলিশ দিয়া মিথ্যা অভিযোগ দিয়া আমার বাড়িতে পাঠায়।এর মধ্যে মৃত রজব আলীর ছেলে আবুল কাশেম প্ররোক্ষ ভাবে জরিত। পরবর্তীতে আইনী কর্মকর্তারা ঘটনা মিথ্যা এবং মামলার বাদী না পেয়ে নাটক তৈরির বিষয়টি বুঝতে পারে।
গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) আনুমানিক রাত ১.৩০ মিনিটে সময় ২০/২৫ জন রেব সদস্যরা আমার বাড়িতে আসে এবং তারা আমার ঘর তল্লাসী করিয়া কিছু না পাইয়া চলিয়া যায়।
র ্যাব সদস্যদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন,আপনার ঘরে অস্ত্র আছে বলে সংবাদ পেয়েছি,তাই আপনার বাড়ি তল্লাশি করেছি।এরকম ভাবে পর্যায়ক্রমে আমার ছেলে সহ আমাদের কে হয়রানি করতেছে।পরিবার নিয়ে খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি।তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন ও আমার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংবাদ সম্মেলন করেন।