মেজবা রহমান;বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা :
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৪১নং ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় বিধান দ্বারা নির্ধারিত স্থান ও শর্তাধীনে বসবাস করার নিয়ম থাকলেও গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর প্রায় ১১ বছর পার হলেও আবাসন সমস্যার সমাধান হয়নি।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর’ই আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদেরকে অধিক মূল্যে বাসা ভাড়া করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাত্র ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসদ ব্যবস্থা রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালটিতে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০১৩ সালে প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ দমমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী আবাসন সুবিধার আওতায় ছিল কিন্ত, ইউজিসি’র সর্বশেষ (২০১৯) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় গত কয়েক বছরে আবসন সুবিধা কমেছে প্রায় ১৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে, অনিয়ন্ত্রিতভাবে আসন সংখ্যা বাড়ানোর কারণে প্রকট হয়েছে আবাসন সংকট।
আবাসন সঙ্কট নিরসনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাপারে বশেমুরবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, ‘নতুন নতুন হল নির্মাণ না হলে এই সংকট নিরসন সম্ভব নয়। নতুন হল নির্মাণের জন্য ইউজিসি বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এজন্য আমাদের মাস্টার প্ল্যান আছে। এই প্ল্যানের মধ্যে নতুন হল, একাডেমিক ভবনসহ অনেক কিছু নির্মাণ করা হবে।’