• রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নবীনগরে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত- জামালপুর জেলার মেলান্দহে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির প্রশিক্ষণ নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হবে; সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জুড়ী উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন ভোলা-১ আসনে তোফায়েল ভাইয়ের বিকল্প নেই – জহুরুল ইসলাম নকিব কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত: প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন আজমত উল্লা মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে পুণরায় সভাপতি সেলিম, সম্পাদক সুমন ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত  জেলা পর্যায়ে মেধা প্রতিযোগীতায় সুজানগর গার্লস একাডেমির ছাত্রী মার্জিয়া রহমান নিহার কৃতিত্ব। 

চট্টগ্রামে ক্যাব খুলসী থানা আায়োজিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত।

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ১৮০ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো।

 

 

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে একবার পেয়াঁজ, একবার আলু, একবার চাল, একবার ভোজ্যতেল এভাবে চক্রাকারে মূল্যবৃদ্ধি করে নিত্যপণ্যের বাজারে ভোক্তাদের নাবিশ্বাস তৈরী করছে। চট্টগ্রামে আলু ও পেয়াঁজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কারসাজি করার পর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মাজিস্ট্রেট দেশের বৃহত্তর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ ও রেয়াজউদ্দীন বাজারে অভিযান পরিচালনা করলে ব্যবসায়ীরা পরের দিন ধর্মঘট ডেকে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে আর কোন উদ্যোগ নেয় নাই। যার খেসারত দিতে হচ্ছে ভোক্তাদেরকে। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের এ ধরনের কারসাজি ও প্রশাসনের নিরবতার কারনে সরকারের অনেক সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগ শুনা গেলেও সেগুলো মাঠ পর্যায়ে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। আর সরকারের এই ব্যর্থতার জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্যকেই দায়ী মনে করছেন ক্যাব নেতৃবৃন্দ। সরকারী-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ব্যবসায়ী সংগঠন ও ট্রেড বড়িগুলির সক্ষমতা অনেক বেশী হয়ে আছে। সেকারনে তারা অতি সহজেই সরকারকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হচ্ছেন। ফলে নিত্যভোগ্য পণ্যের বাজারসহ ব্যবসা সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলেই তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্ঠি করছে। আর দেশের ভোক্তারা অংসগঠিত, অসচেতন ও প্রতিবাদী না হবার কারনে সেকারনে ভোক্তাদের স্বার্থগুলি বারবার উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। তাই ভোক্তাদের সক্ষমতা ও ক্ষমতায়ন জোরদারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবি জানানো হয়।

 

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ নগরীর একটি অভিজাত রেস্তোরায় ক্যাব খুলসী থানা আয়োজিত “নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার-অসহায় ভোক্তাঃ উত্তরনণের উপায় ও করনীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

 

ক্যাব খুলসী থানার সভাপতি লায়ন প্রকৌশলী হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন আনসার-১৫ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক এস এম আজিম উদ্দীন। আলোচনায় অংশনেন ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সহ-সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব পাঁচলাইশ থানার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব জামালখান ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক নবুয়াত আরা সিদ্দিকী, হেলাল চৌধুরী, ক্যাব ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি এবিএম হুমায়ুন কবির, ক্যাব চান্দগাও থানা সভাপতি মোহাম্মদ জানে আলম, সদরঘাট থানা সভাপতি শাহীন চৌধুরী, বিশিষ্ট নারী নেত্রী রেজিয়া বেগম, নারী নেত্রী শাহীন শিরিন, সিটি কলেজের অধ্যাপক মোঃ আকরাম হোসাইন, বিএএফ শাহীন কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাজী রাশেদুল ইসলাম, প্রভাষক সাইফুল্লাহ বায়েজিদ, ক্যাব চান্দগাও এর ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব ৬নং পূর্বষোল শহরের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জমান, আবু ইফনুচ, সাংবাদিক আশিক আরেফিন, ক্যাব যুব গ্রুপের সমন্বয়কারী চৌধুরী জমিসুল হক, নাসিম উদ্দীন প্রমুখ।

 

বক্তারা আরও বলেন চট্টগ্রামে হাটে বাজারে জেলি ওয়ালা মাছ ও নিষিদ্ধ পিরান হা মাছে ভরপুর। মৎস্য বিভাগ ফিশারী ঘাটে লোক দেখানো ২/১টি অভিযান করেই ক্ষান্ত। ক্যাব সরকারের কৃিষ, মৎস্য, প্রাণী সম্পদ, স্বাস্থ্য, পরিবশে সমন্বয়ে সমন্বিত বাজার তদারকির দাবি করে আসেলেও বাজার অভিযানে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও বিএসটিআই সক্রিয় থাকলেও কৃষি, মৎস্য, পরিবেশ, স্বাস্থ্য বিভাগের কোন অস্থিত্ব নেই। তাই বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, রাস্তাঘাটে ধুলাবালি ও পাহাড়কাটাসহ পরিবেশ বিধ্বংসী অবস্থা সর্বত্র বিরাজমান হলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের খবর নেই। বিভিন্ন খাবার ও বেকারীতে খাদ্যে ফুড কালারের নামে যে সমস্ত রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে সবগুলো রঙগুলি কাপড় ও ওয়ালের রঙ। সেকারনে দেশের ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার সিংহভাগই চট্টগ্রামের। অনতিবিলম্বে এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌