• রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১১:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নবীনগরে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত- জামালপুর জেলার মেলান্দহে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির প্রশিক্ষণ নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হবে; সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জুড়ী উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন ভোলা-১ আসনে তোফায়েল ভাইয়ের বিকল্প নেই – জহুরুল ইসলাম নকিব কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত: প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন আজমত উল্লা মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে পুণরায় সভাপতি সেলিম, সম্পাদক সুমন ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত  জেলা পর্যায়ে মেধা প্রতিযোগীতায় সুজানগর গার্লস একাডেমির ছাত্রী মার্জিয়া রহমান নিহার কৃতিত্ব। 

চট্টগ্রাম ঢাকা বুলেট ট্রেন প্রকল্পের সম্ভাব‍্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। নকশা ও শেষের দিকে।

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ২৬২ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০

মোঃ সিরাজুল মনির ব‍্যুরো প্রধান চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রুটে চলাচল জন্য নেওয়া প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। নকশা তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। উচ্চগতির এ রেলসেবা চালু হলে ৬ ঘণ্টা নয়, ননস্টপে মাত্র ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে।

 

রুট ম্যাপ অনুযায়ী প্রস্তাবিত রেলপথে মোট ছয়টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলো হলো: ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম।

 

যদি এসব স্টেশনে ৩ মিনিট করে থামে তাহলে আরো ১৮ মিনিট সময় বেশি লাগবে। সেক্ষেত্রে ৭৩ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌঁছানো যাবে। আর যদি না থামে তাহলে ৫৫ মিনিটেই চট্টগ্রাম টু ঢাকা। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের পর থামবে কি থামবে না- এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

ট্রেনটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এবং দিনে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে। তবে এর জন্য একজন যাত্রীর ২ হাজার টাকার মতো ভাড়া গুনতে হবে।

 

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের মার্চে অনুমোদন পাওয়া এ ট্রেনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ। চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশন এবং বাংলাদেশের মজুমদার এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজটি করেছে। বর্তমানে এর বিশদ নকশা তৈরির কাজ চলছে। যার জন্য ব্যয় হবে শত কোটি টাকার বেশি। জানুয়ারির মধ্যে প্রকল্পটির নকশা তৈরির কাজও শেষ হবে।

 

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটের ৩২১ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। তবে উচ্চগতির রেলপথটি আগের রেলপথের চেয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার কম হবে। এক্ষেত্রে উচ্চগতির রেলপথ দাঁড়াবে ২২৭ কিলোমিটার।

 

বর্তমানে ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, পাহাড়তলী ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব দাঁড়ায় ৩২১ কিলোমিটার। উচ্চগতির ট্রেনের জন্য ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা রুটটি ব্যবহার করা হবে না, সরাসির ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ তারপর কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বুলেট ট্রেন। এক্ষেত্রে ৯৪ কিলোমিটার পথ কম পাড়ি দিতে হবে ট্রেনটির।

 

প্রকল্পটির জন্য ৬৬৮ দশমিক ২৪ হেক্টর জমির প্রয়োজন হবে, ফলে এটি বাস্তবায়নে রেলওয়েকে ৪৬৪ দশমিক ২ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে।

 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্তগীন গণমাধ্যমকে জানান, ডিসেম্বরের দিকে চায়না রেলওয়ে ডিজাইন করপোরেশনের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে নকশা চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন। তারপর ব্যায়ের বিষয়টি নির্ধারণ করে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য যাবে। অনুমোদন পাওয়ার পর কাজ শুরু হবে।

 

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী জানান, বুলেট ট্রেনটি চালু হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা নয়, বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বিরাট ভূমিকা পালন করবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ব‍্যবসার নতুন সম্ভাবনা উন্মোচিত হবে চট্টগ্রাম ঢাকার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌