• রবিবার, ০৪ জুন ২০২৩, ১০:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
নবীনগরে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত- জামালপুর জেলার মেলান্দহে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির প্রশিক্ষণ নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হবে; সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জুড়ী উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন ভোলা-১ আসনে তোফায়েল ভাইয়ের বিকল্প নেই – জহুরুল ইসলাম নকিব কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত: প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন আজমত উল্লা মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে পুণরায় সভাপতি সেলিম, সম্পাদক সুমন ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত  জেলা পর্যায়ে মেধা প্রতিযোগীতায় সুজানগর গার্লস একাডেমির ছাত্রী মার্জিয়া রহমান নিহার কৃতিত্ব। 

চসিকের বিদায়ী প্রশাসক সুজনের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত।

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ১২১ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো। 

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, গতিশীল শহর চাইলে বন্দরকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। তাহলে তাহলে ৭-৮ শ’ কোটি টাকা আয় হবে চসিকের।

 

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জামালখানের সিনিয়র্স ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

সুজন বলেন, কাস্টম হাউসের রাজস্ব থেকে ১ শতাংশ দিতে হবে চসিককে। ল্যান্ডর অব অরজিনকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন হবে। একেকটি কারখানা চসিককে বছরে ২ হাজার ডলার দিতে পারে৷ দরকার হলে আইন করা হোক। রড ফ্যাক্টরির ইয়ার্ড কি শহরের রাস্তাঘাট?

 

চসিকের সম্পত্তি পাবলিক প্রপার্টি। দিনের ১২টায়ও অনেকে অফিসে আসে না। আমি সোয়া ৯টায় গেট বন্ধ করে দিয়েছি তিন দিন। চসিকে দক্ষ জনবলের অভাব। নিয়োগের নিয়ম বালাই নেই। দক্ষ জনবল চসিকের বড় সম্পদ। পৌরসভা চসিক হয়েছে। মানসিকতা পৌরসভার। পরিচ্ছন্ন বিভাগে অতিরিক্ত জনবল আছে। সবসময় কাজে নেই, হাজিরা আছে।

 

তিনি বলেন, ১৮ কোটি টাকা বেতন। মার্চ থেকে ১৯ কোটি টাকা হবে। জ্বালানি ও গ্যাসে তিন- সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ। আমার ডাকে পৌরকর বাড়াতে মানুষ সাড়া দিয়েছেন, আমি কৃতজ্ঞ। হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য আপিল বোর্ড বানিয়ে দিয়েছিলাম। আমি বলেছি যা দিতে চায় নিয়ে নেন। হোল্ডিং ট্যাক্স অটোমেশনে আনতে পারলে আরও বেশি আদায় করতে পারতাম। চট্টগ্রামের মানুষ লাইনে দাঁড়াতে চান না। অনেক কর কর্মকর্তাকে বদলি করেছি, অডিট করিয়েছি। অনেক ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায় করে চসিকের বালামে তুলেনি। ব্যবস্থা নিতে কমিটি করে দিয়েছি।

 

সুজন বলেন, রাজনৈতিক সংগঠনের জন্য যেমন প্রস্তুত তেমনি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক কাজের জন্য প্রস্তুত। অনেকবার সংসদ সদস্য ও মেয়র পদে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। বিবেচিত হইনি। ছয় মাস সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারি দিতে চেষ্টা করেছি। সিটি করপোরেশন আমার জন্য নতুন কিছু নয়। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ১৭ বছর কাছাকাছি ছিলাম। উনাকে দেখে আমার অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

 

আমার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পিসি রোড, যেটি খালের ভিতর ছিল। এখানে অর্থের অভাব ছিল না। দুইজন ঠিকাদার ছিল অদক্ষ, এরমধ্যে একজন জিকে শামিমের পার্টনার। আমি কুমিল্লা থেকে আনালাম। বললাম, কাজ শেষ না করে ফিরতে পারবে না। তার অনেক পাওনাদার ছিল। মানুষের কষ্ট আমি দেখেছি, দুঃসহ অবস্থা। সড়কের পূর্ব অংশ কমপ্লিট করেছি। ছয় মাস যুদ্ধ করেছি। এলাকার অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি, অনেকের গালমন্দ শুনেছি। গণমাধ্যমের সহযোগিতা আমার চিরকাল মনে থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌