ভোলা প্রতিনিধি:
দেশে যখন বৈশ্বিক করনা মহামারীর মধ্যে বিপর্যয় চলছে,আতংকিত যখন মানুষ।জীবন জীবিকা নিয়ে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন আমরা সবাই তখনি এক শ্রেনীর মানুষ সাংবাদিকতা পেশার নামে অপ-সাংবাদিকতা নিজেকে বেস্ত রেখে সংবাদ প্রচারের নামে নিরব চাদাবাজী করে যাচ্ছেন বিভিন্ন নামে ও বেনামে। তারই গল্পের অন্যতম এক সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৩নং দেউলা ইউনিয়নের পলাশ তালুকদার পিতা, মো.শাহবুদ্দিন। তথ্যসূত্র জানা যায় কথিত এই সাংবাদিক একটি অনলাইন পত্রিকার আইডি কার্ড পকেটে নিয়ে অপ-সাংবাদিকতা করার জন্যে চড়িয়ে বেড়ান গ্রাম থেকে শহরে। যিনি বিভিন্ন চ্যানেল মিডিয়ার সংবাদ কর্মী পরিচয়ে ভোলার বিভিন্ন নেতাকর্মী ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের ইন্টারভিউ নামে রাজনৈতিক সাক্ষাৎকার নামে চাদাবাজী করে বেড়ান বলে যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
পলাশ তালুকদার খুবই স্মার্ট সুদর্শন ও কথার যাদুকর রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মাথায় টুপি পরিয়ে যিনি ইন্টারভিউ নিয়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। তথ্যনিয়ে জানা যায় পলাশ তালুকদার একসময় দেউলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক অর্থাৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাপোর্ট পেতেই মুলত তার সাংবাদিক পরিচয়ে দাবিয়ে বেড়ানো এবং এইসকল নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড তুলেধরে তাদের কাছে ইন্টারভিউ নামে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ।তবে তাদের সাক্ষাৎকার টিভি চ্যানেল মিডিয়ায় প্রচার করার কথা থাকলে কোন রকমে তার নিজ ফেসবুক আইডি থেকে সম্পচার করে থাকেন বলে অভিযোগ করেন একাদিক ভুক্তভোগী ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার গন।
প্রতিটি ইন্টারভিউ খরচ বাবদ ১০০০৳ থেকে ৫০০০৳ পযন্ত তিনি নিয়ে থাকেন বলে যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
এই বিষয় ভুক্তভোগী জনপ্রতিনিধি ভোলার
উত্তর জয়নগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাইদুল সরকার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা,ভোলার দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ডের শিপন মেম্বারের কাছে থেকে ১০০০ টাকা, সৈয়দপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের আলমগীর মেম্বারের কাছে ১০০০ টাকা, দৌলতখান সৈয়দপুর ৮নং ওয়ার্ডের সহিদ মেম্বারের কাছে থেকে ১০০০ টাকা এবং একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাশেদ মেম্বারের কাছে থেকে ২০০০ টাকা, দক্ষিণ জয়নগরে ইউপি সদস্য হারুন মাতব্বরের কাছে থেকে ১৫০০ টাকা এই রকম ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম গঞ্জে ঘুরে ইন্টারভিউ নামে সাংবাদিক পরিচয়ে অপ-সাংবাদিকতা করে চাদাবাজী করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
পলাশ তালুকদার এর এসকল প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয়ে জেলার সাধারন সাংবাদিকেরা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান সাংবাদিকতার মত একটি মহান পেশাকে নামধারী কিছু পলাশ তালুকদাররা অপ-সাংবাদিকতা করে পেশাদার সাংবাদিকদের বিতর্কিত করছে। এবং এই পেশার সন্মান ইজ্জত নষ্ট করছে,তাই তাদের দাবি অনতিবিলম্ব এইসকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
এবিষয়ে পলাশ তালুকদার কে একাধিক বার ফোন করলেও তার ব্যক্তগত মোবাইলে ফোনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।