নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরে অশীতিপর বৃদ্ধ মা তিন ছে’লের হ’ত্যার হু’মকিতে এখন বাড়িছাড়া। জীবন বাঁ’চাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন নানা জায়গায়। নিজের বাস্তুভিটা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্যই ওই না’রীকে প্রা’ণনাশের হু’মকি দেওয়া হচ্ছে বলে অ’ভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নাটোরের জে’লা প্রশাসক, পু’লিশ সুপার ও সিংড়া উপজে’লা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অ’ভিযোগ করা হয়েছে।
অ’ভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজে’লার চামা’রী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মৃ’ত শেখ রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী’ আ’মেনা বেওয়ার ছে’লেমে’য়ে ১৯ জন। সন্তানদের সবাই উচ্চশিক্ষিত এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘদিন ধরে তার তিন ছে’লে শেখ মো. রেজাউল করিম, শেখ মো. আবু রায়হান, শেখ মো. আব্দুর রব তাদের মাকে কোনো প্রকার আর্থিক সাহায্য বা ভরণপোষণ প্রদান করেন না।
উল্টো তারা তাদের আর্থিক দেনা পরিশোধের জন্য মায়ের নামে থাকা জমিজমা তিন ভাইয়ের নামে লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এছাড়া ছোট ছে’লে রেন্টুর ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি বিক্রয় করতে গেলে তারা গ্রামের বিভিন্ন লোকজনকে বিভিন্নভাবে ভ’য়ভীতি প্রদর্শন করেন। এতে তাদের ভ’য়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে ওই জমি কিনতে অনীহা প্রকাশ করেন। তারা শুধু এসব কাজ করেই ক্ষান্ত হয়নি, আ’মেনা খাতুনের বন্ধকি জমির গ্রহীতাদের পাঠিয়ে টাকা আদায়ের জন্য অনবরত চাপ প্রদান করতে বাধ্য করে। ফলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে অ’সুস্থ হয়ে পড়েন।
এছাড়া গত ২১ এপ্রিল বিকালে আ’মেনা খাতুন পারিবারিক বিষয় নিয়ে বড় ছে’লের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার সময় অ’পর ছে’লে আবু রায়হান ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ছে’লে রান্টুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও এলোপাতাড়ি মা’রপিট করে এবং ঘরের দরজা, জানালা লা’ঠি দিয়ে ভাংচুর করেন। তাকে মা’রতে উদ্যত হন এবং প্রা’ণনাশের হু’মকি দেন। জমি লিখে নেওয়ার জন্য তিন ছে’লে এ ধরনের কাজ করছে বলে তিনি জানান। তাই তাদের ভ’য়ে তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি তার জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন ।
তবে অ’ভিযু’ক্ত ছে’লে শেখ মো. আব্দুর রব বলেন, মায়ের বয়স হয়েছে, মাকে আমা’র অন্য ভাইয়েরা ভুল বুঝিয়ে এসব মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অ’ভিযোগ করিয়েছে। আসলে এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
সিংড়া থা’নার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, এখনো এ ধরনের কোনো লিখিত অ’ভিযোগ পাইনি। পেলে ত’দ’ন্তসা’পেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।