সাংবাদিকদের আজকের এ ত্রাহী ত্রাহী অবস্থার জন্য সাংবাদিকরাই বেশী দায়ী। সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের বড়ই অভাব,পেশার চেয়ে চাটুকারী ও দলবাজির নেশায় তারা বেশী মত্ত। এমনকি মাদক ব্যবসায়ীসহ নানা অপরাধীদের সাথেও সখ্যতা গড়েছে এ পেশার কিছু নামধারীরা।
নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মূলধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে কেউ কেউ অশিক্ষিতজনদের টেনে হেঁচড়েও এ পেশায় নিয়ে এসে পেশাটাতে পচন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া
লেজুড়বৃত্তি সাংবাদিকতা তো রয়েছেই।কেউবা রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কেউবা আবার প্রশাসনের সাথেও রয়েছে।
১।পেশাদারিত্বে বড়ই অভাবঃ
সাংবাদিকরা এখন সাংবাদিক নয় তারা শ্রমিক। মিডিয়া হাউজগুলোও সাংবাদিকদের হাতে নেই। রাজনৈতিক নেতা, স্মাগলার ও মাফিয়া ডনদের হাতে দেশের অধিকাংশ মিডিয়া হাউজ।এসব প্রতিষ্ঠানে সংবাদকর্মীরা দেশ ও দেশের মানুষের দুর্ভোগের চেয়ে ফরমায়েশী সংবাদ তৈরীতে বেশী ব্যস্ত সময় অতিক্রান্ত করছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের দ্রুত বের হয়ে আসতে হবে।
২। আধিপত্য বিস্তার;
কতিপয় সাংবাদিক নেতারা নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য অনেকেই কিছু অসাংবাদিক পোষেন ।এসব পালিত পুত্ররা এ পেশাটাকে চেটেপুটে খেয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।নেতাদের পাশাপাশি এখন আবার প্রশাসনকেও
নিজস্ব সংবাদকর্মী পোষতে দেখা যায়।
৩।লেজুড়বৃত্তি সাংবাদিকতাঃ
অধিকাংশ সাংবাদিকই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য। আবার কেউ বা সরকার কিংবা প্রশাসনকে পুজো দেয়। এসব করে এ পেশাটার ১৩ টা বাজিয়েছে। সাংবাদিকদের দেশের সর্ববৃহৎ সংগঠন থেকে শুরু করে দেশের অধিকাংশ সংগঠনই এখন সরকার নিয়ন্ত্রণ করেন।
৪।সবাই সাংবাদিক ও সম্পাদক!ঃ
অবাধ এই অনলাইনের যোগে এখন সবাই সাংবাদিক ও সম্পাদক। সরকারকে অবশ্যই শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।এবং সাংবাদিকতাকে সনদের আওতায় আনতে হবে।তাহলে পরেই পেশাদারিত্ব বাড়বে।বাড়বে সাংবাদিকতার সম্মান।
৫। রাষ্ট্র ও সরকারকে পাশে থাকতে হবেঃ
রাষ্ট্র ও সরকার কেউই সাংবাদিকদের পাশে নেই।রাষ্ট্রের প্রয়োজনে সরকারকে সাংবাদিকদের পাশে থাকতে হবে। সাংবাদিকরা যেমন সবসময় রাষ্ট্রের কল্যানে কাজ করে ঠিক তেমনি ভাবে সরকারকে সাংবাদিকদের কল্যানে কাজ করতে হবে। সরকার সাংবাদিকদের পাশে থাকলেই দেশ থেকে দুর হবে দুর্নীতি ও দূঃশাসন।ফিরে আসবে সচ্ছতা।
লেখকঃ মোঃ মাজহারুল পরভেজ, সাধারণ সম্পাদক
নরসিংদী প্রেস ক্লাব।