রোকন বিশ্বাস-ষ্টাফ ক্রাইম রিপোর্টারঃ ভালোবাসার প্রিতীলতায় আকৃষ্ট করে নিজের দিকেই বেশি এমন সাদৃশ্যের চিত্র প্রায় মেলে শহর অঞ্চল থেকে গ্রাম অঞ্চল পর্যন্ত।ধর্ষণ করার চেষ্টার কথা এখন বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গাতেই শোনা যায় যা মানব সমাজে এক নিকৃষ্টতম কাজের নাম কিন্তু কেই বা কার কথা মেনে চলে।আইনের শক্ত খুঁটিকেও ডিঙ্গিয়ে নিজের প্রতি কঠোর থেকে কঠিনতম হয়ে এমন জঘন্য ও নিকৃষ্ট কাজে লিপ্ত হয় কিছু মানুষ রুপে নারী খেঁকো জানোয়ার।এই ধারাবাহিকতায় পাবনা জেলার সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের স্বামী হারা দুই সন্তানের ‘মা, (নাম প্রকাশ করতে অনিইচ্ছুক ভিকটিম)এমন কার্যক্রম করে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবু(৪৯)। আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবু সাঁথিয়া উপজেলার গৌড়ী গ্রামে ইউনিয়নের ঘুঘুদহ গ্রামের বাসিন্দা মোঃজব্বারের ছেলে। ভিকটিম স্বামীকে হারানোর পর বাসা বাড়ীতে কিছু প্রসাধনী খাবার রান্না করে অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে সংসার পরিচালনা করে।তিনি এই সকল প্রসাধনী খাবারের অর্ডার আসলে রান্না করে ক্রেতার নিজ ঠিকানায় পৌঁছে দেন কিছু তার রাখা কর্মচারীদ্বারা।ভিকটিমের সাথে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবুর পরিচয় হয় এই প্রসাধনী খাবার ক্রয় করার মাধ্যমে।নিজের ব্যবসা বৃদ্ধি করতে প্রতিটি ব্যবসায়ীই বর্তমান পরিদর্শন কার্ড তৈরি করে বিলিয়ে দেয় মানুষের মাঝে এমন ভাবেই পেয়ে যায় এই নর পিশাচ আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবু ভিকটিমের যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল নাম্বার।তিনি মাঝে মধ্যেই ভিকটিমকে কল দিয়ে বলেন আমার অফিসে যখন কোন বড় ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তখন আমি আপনাকে অর্ডার দিলে প্রসাধনী খাবার পাঠাবেন এমনি উক্তিবাক্যতে কথা বলার সুযোগ তৈরি করে নেন এই নরপিশাচ ভিকটিমের সাথে।এক পর্যায়ে ভিকটিমের সাথে কথা বলাও শুরু হয় বিভিন্ন কলা কৌশলে।আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবু নিজেকে আইনজীবি বলেও দাবি করেন ভিকটিমের কাছে এমন কথাতেই শুরু হয় প্রেমের বন্ধন। কিন্তু গোপন সাংবাদের মাধ্যমে দৈনিক আমাদের সংগ্রাম পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার রোকন বিশ্বাসের হাতে এসে পৌঁছেছে সেই ব্ল্যাক-মেইল করা কিছু ছবি।এই সকল ছবি যথেষ্ট একজন নারীর জীবনে মৃত্যুর পথের পথযাত্রী হওয়া।ভিকটিম জানিয়েছেন,তার কোন প্রকার আইনজীবীর লাইসেন্স নেই তিনি মহরার কাজে প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন এই সকল কথা আমি পাবনা বার কাউন্সিলেও অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু কোন প্রকার সু-বিচার পাইনি।জোর জবর দস্তি করে বিভিন্ন সময়ে ব্ল্যাক-মেইল করে নিজের সাথেই ছবি তুলে আরো জোড়ালো ভাবে ব্ল্যাক-মেইল শুরু করে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবু,এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় একটা এজাহার দায়ের করেন।ভিকটিমের এজাহার করা ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় নরপিশাচ আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাবুকে পাবনা জেলা শহর থেকে গ্রেফতার করেন কর্তব্যরত পুলিশ প্রশাসন। রোকন বিশ্বাসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের ধারাবাহিকতায় ২য় পর্বে আসছে বিস্তারিত।আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন বিস্তারিত জানতে দৈনিক আমাদের সংগ্রাম পত্রিকায় চোঁখ রাখুন।