মাজহারুল ইসলাম বাদল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাজে বিশারা ও দুবাচাইল গ্রামের দীর্ঘদিনের সংঘাত, মামলা হামলা সহ বিরোধের নিষ্পত্তি করলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
শনিবার স্থানীয় বাজে বিশারা গ্রামের প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গণে উপজেলা দাঙ্গা নিরসন কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সবাইকে সাথে নিয়ে এই বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়।
ঝগড়া নয় শান্তি চাই,মিলে মিশে বাঁচতে চায় এমন মানবিক চেতনায় উপজেলা দাঙ্গা নিরসন কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিভিন্ন গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ সহ বিভিন্ন অরাজকতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে এই কমিটি।
তারই ধারাবাহিকতায় বাজে বিশারা ও দুবাচাইল গ্রামে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে মারামারি ভাঙচুর,হামলা মামলা,হত্যাকান্ডের মতো ঘটনাও ঘটে।
এ নিয়ে বছরের পর বছর গ্রাম ছাড়া শতশত মানুষ।
পরিস্থিতি দিন দিন আরো ভয়াবহতায় রূপ নিলে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন এমপি এবাদুল করিম বুলবুল।
তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে উভয় পক্ষের অনুসারীদের নিয়ে আপোষ মিমাংসায় বসেন উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি সহ সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল।
নবীনগর উপজেলা দাঙ্গা নিরসন কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এডঃ সুজিত কুমার দেবের সভাপতিত্বে
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির,ভাইস-চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক,শিউলি রহমান,জেলা পরিষদ সদস্য বুরহান উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হক,আব্দুর রউফ তুহিন,চেয়ারম্যান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ফিরোজ মিয়া,শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গন।
উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে এমপি এবাদুল করিম বুলবুল বলেন,আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে এলাকার উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে চায়।
দাঙ্গা হাঙ্গামা এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি,মানুষিক দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে।
এই কারণে এই এলাকায় কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি।
ভবিষ্য প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আপনাদের এই পথ থেকে সরে আসার কোন বিকল্প নেই।
এই শান্তি প্রকৃয়া নষ্ট হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।