• সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
নবীনগরে ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত- জামালপুর জেলার মেলান্দহে বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির প্রশিক্ষণ নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ থেকে ১০০ শয্যা করা হবে; সাংসদ এবাদুল করিম বুলবুল বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জুড়ী উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন ভোলা-১ আসনে তোফায়েল ভাইয়ের বিকল্প নেই – জহুরুল ইসলাম নকিব কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত: প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন আজমত উল্লা মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে পুণরায় সভাপতি সেলিম, সম্পাদক সুমন ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত  জেলা পর্যায়ে মেধা প্রতিযোগীতায় সুজানগর গার্লস একাডেমির ছাত্রী মার্জিয়া রহমান নিহার কৃতিত্ব। 

নবীনগরে ইউএনও’র পরিচয়ে মাদ্রাসা সুপারের সাথে প্রতারণা! 

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ১২৩ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়ঃনবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি :

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রতারক চক্রের পাতা ফাঁদে পরেছেন এক মাদ্রাসা সুপার। ইউএনও এর নাম ভাংগিয়ে ওই প্রতারক চক্র প্রতিটি ৫৬০০০ টাকা মূল্যের চারটি ল্যাপটপ বরাদ্দের কথা বলে সরকারি ফি প্রতিটির জন্য ৯০০০ টাকা করে ৩৬০০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যমে নিয়ে গেছে। প্রতারণার শিকার ওই শিক্ষক হচ্ছেন উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের ছোট শিকানিকা গ্রামের ইমাম হোসাইন(রাঃ) দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. জামাল উদ্দিন। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক তার সরকারি ফোন নাম্বারে কল দিয়ে প্রতারণার শিকার ওই মাদ্রাসার সুপার বরাদ্দের ৪টি ল্যাপটপ চাইলে তখনই বিষয়টি ধরা পড়ে।

মাদ্রাসার সুপার জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারী চৌড়িয়া মুন্সী রহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন সরকার মানিক মিয়া ওই মাদ্রাসার সুপারের ফোনে একটা নাম্বার দিয়ে বলে আপনি ইউএনও স্যারের সাথে এই নাম্বারে দ্রুত কথা বলেন (০১৬৩১৮৩৩৮৯০)। সুপার সরল বিশ্বাসের মানিক মাষ্টারের দেওয়া ওই নাম্বারে ফোন দেয়। ফোনে ‘আমি ইউএনও বলছি’ পরিচয় দিয়ে সৌজন্যমূলক কৌশল বিনিময়ের পর বলে সরকারিভাবে কিছু ল্যাপটপ এসেছে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের জন্য। আপনার জন্য ১টি বরাদ্দ আছে। এর আগে সরকারি কোন বরাদ্দ যদি না পেয়ে থাকেন কিছু বাড়িয়ে কিছু দেওয়া যাবে। কোন বরাদ্দ না পাওয়ায় ইউএনও উনাকে ৪টি ল্যাপটপ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে নগদের মাধ্যমে সরকারি ফি-এর টাকা চান। ওই দিনই ১৮০০০ হাজার টাকা ওই নাম্বারে দেন বাকি টাকা গত ৭ ফেব্রুয়ারীতে দেন। কথা অনুযায়ী ৭ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪টায় ইউএনও ফোন দিলে উপজেলা পরিষদ থেকে এসে মালামাল নিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু বিকাল ৪টার পর ওই নাম্বার(০১৬৩১৮৩৩৮৯০)বন্ধ পাওয়া যায়। পরিশেষে ইউএনও মহোদয়ের সরকারি নাম্বারটি জোগার করে ফোন দেন ওই সুপার।

চুওএইয়া মুন্সী রহিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন মানিক বলেন, এই ফোন থেকে আমাকেও ওই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আমি উনাকে সরাসরি দেখা করে বরাদ্দের বিষয়ে কথা বলব বলি। এরপর উনি মাদ্রাসার সুপারকে পাচ্ছেন না বলে নাম্বারটা উনাকে দিতে বলে তাই সুপারকে নাম্বারটা দেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন,”ওই সুপার আমার সরকারি নাম্বারে ফোন দিলে বিষয়টি ধরা পড়ে,এ রকম প্রতারণা অহরহ হচ্ছে,আমি সকলকে অনুরোধ করব যদি এ ধরনের ফোন আসে তাহলে সরাসরি অফিসে এসে আমার সাথে দেখা করে বিষয়টি সম্পর্কে জানবেন,আমার এই সরকারি নাম্বারটিও ক্লোন হতে পারে তাই অনুরোধ করব সকলেই সর্তক থাকবেন”।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌