২০১৭ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে সালিস বৈঠকের নামে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দুই ব্যাক্তিকে।
দূর্বৃত্তের হাতে নির্মমভাবে হত্যা’র স্বীকার হয়
রসুল্লাবাদ গ্রামের খন্দকার এনামুল হক ও তার ভায়রা ভাই বিজিবির সবেক সদস্য ইয়াছিন মিয়া।খন্দকার এনামূল হক এলাকায় হক ডাকাত নামে পরিচিত।
জোড়া খুনের এ ঘটনায় সে সময় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় জেলা-উপজেলা জুড়ে। পরে নিহত এনামুল হকের স্ত্রী তসলিমা আক্তার বাদী হয়ে পার্শ্ববর্তী সাতমোড়ার চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে জোড়া খুনের মামলায় তিন নম্বর আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। গত ৮ মার্চ (সোমবার) এ মামলায় আত্মসমর্পণ করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন চেয়ারম্যান মাসুদ রানা। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে জেলা হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বহুল আলোচিত জোড়া খুনের মামলায় কারাগারে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানার অবিলম্বে জামিন ও মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে অনুষ্ঠিত ওই প্রতিবাদসভা থেকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দি চেয়ারম্যানের মুক্তির (জামিন) দাবি জানানো হয়। তা না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রলীগ নেতারা। গ্রেপ্তার মাসুদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিমের ছোট ভাই।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় ডাকবাংলো সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম রাজীব। ছাত্রনেতা সাইফুর রহমান রকির সঞ্চালনায় প্রতিবাদসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক জিএস খায়রুল আমীন, ফরিদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সালাউদ্দিন বাবু, যুবলীগ সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম রিপন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ হোসেন, আতিক, দেলোয়ার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জোড়া খুনের একটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে চেয়ারম্যান মাসুদকে জেলে নেওয়া হয়েছে। তাই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মাসুদ চেয়ারম্যানের মুক্তিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।