সোহাগ মিয়া, নরসিংদীঃ নরসিংদী সদর উপজেলার কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফৌজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তাঁর নির্যাতনের শিকার ঐ শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে শারীরিক নির্যাতনের কথা জানালেও, ফৌজিয়া সিন্ডিকেট এর ভয়ে এখন চুপ হয়ে গেছে নির্যাতিত শিক্ষার্থী ও তার পরিবার! নির্যাতনের শিকার ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগী জানায়, সে ফৌজিয়ার এক অন্যায় আবদারে রাজি না হওয়াতে রাতের আঁধারে তাকে চেয়ারে সাথে বেঁধে স্কেল দিয়ে মারধোর করাসহ গলা চেপে ধরে নির্যাতন করা হয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে আড়াইহাজার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং নোয়াকান্দী ঈদগাহ পাড়া গ্রামের দেলোয়ারের মেয়ে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহানের নাতনী। নির্ভরযোগ্যসূত্রমতে জানা যায়, গৃহকর্মী সোহাগীকে নির্যাতনের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পরবর্তীতে কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুল হোসেনসহ তার সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগীতায় সোহাগীকে চোর সাজিয়ে শালিস বসিয়ে বিষয়টিকে শেষ করে দেওয়া হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় নির্যাতনের শিকার সোহাগী ও তার পরিবারেরর সদস্যরা ফৌজিয়া ও তার সিন্ডিকেটের ভয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়নি এমনকি থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করেনি। একই এলাকার মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ইমন জানান, বীরমুক্তিযোদ্ধার নাতনী সোহাগী আক্তারকে পরিদর্শিকা ফৌজিয়া চেয়ারে সাথে বেঁধে স্কেল দিয়ে মারধোর করেছেন। আমরা কাঁঠালিয়াবাসী ফৌজিয়ার নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ এবং দ্রুত তার শাস্তিসহ অপসারণ চাই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তার সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, সোহাগীকে নির্যাতনের বিষয়টিসহ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফৌজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগের মিমাংসা তিনি করে দিয়েছেন। জানতে চাইলে, কাঁঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ফৌজিয়া সুলতানা সোহাগীকে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। নরসিংদী সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ.কে.এম. মুনিম আহাম্মেদ সজীব বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো অবগত না।যদি ভুক্তভোগী আমার কাছে অভিযোগ দেয় আমি সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নিব।