• সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কমলগঞ্জের শমসেরনগরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছুরিকাঘাতে আহত: প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন আজমত উল্লা মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে পুণরায় সভাপতি সেলিম, সম্পাদক সুমন ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে খাগড়াছড়িতে বিএনপির জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত  জেলা পর্যায়ে মেধা প্রতিযোগীতায় সুজানগর গার্লস একাডেমির ছাত্রী মার্জিয়া রহমান নিহার কৃতিত্ব।  আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নান্দাইলে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত মাধবপুরের কৃষি মেলা উদ্বোধন:বিমান প্রতিমন্ত্রী  গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জায়েদা খাতুনের বাজিমাত গাজীপুরের নগরপিতা কে হবেন,রায় দেবেন জনগন আজ ৮ বছরের ছেলের আদিল মাহমুদ সোহান এর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার। 

পুরুষদের প্রতি যৌন সহিংসতা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ১৩২ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

সোহাগ বন্দুকশী, নরসিংদী প্রতিনিধি 

 

৮ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখ, মঙ্গলবার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুরুষের প্রতি যৌন সহিংসতা বন্ধ করার লক্ষ্যে, পুরুষের লিঙ্গ-কর্তন বা অন্য কোন উপায়ে পুরুষত্বহীন করার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করার দাবিতে মানববন্ধন করে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক খান, এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, তাহমিনুর রহমান সজীব সহ সংগঠানের অন্য সদস্যরা।

 

 

এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি বলেন, “পুরুষের প্রতি যৌন সহিংসতা হিসেবে লিঙ্গ-কর্তনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। কখনো স্ত্রীর দ্বারা বা কখনো অন্য দুর্বৃত্তদের দ্বারা পুরুষাঙ্গ-কর্তনের মত নৃশংস অপরাধের শিকার হচ্ছে পুরুষ। এই অপরাধের ফলে যৌন জীবন ও পিতৃত্বের ক্ষমতা আজীবনের মত হারিয়ে ফেলছে পুরুষ। অনেক সময় এই গুরুতর জখমের ফলে মৃত্যুবরণও করছে। অথচ অপরাধের মাত্রা ও ভিক্টিম পুরুষের ক্ষতির তুলনায় লিঙ্গ-কর্তনের অপরাধীদের অনেক লঘু শাস্তি হচ্ছে। আমরা লিঙ্গ-কর্তনের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ডের বিধানের দাবি জানাচ্ছি।”

 

এ বিষয়ে সংগঠনের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী এডভোকেট কাউসার হোসাইন বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যমান দন্ডবিধি -১৮৬০ এর ১৬ নং অধ্যায়ে মানবদেহ সংক্রান্ত অপরাধ বিষয়ে উল্লেখ করা আছে।উক্ত অধ্যায়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা নামে সুনিদির্ষ্ট কোন অপরাধ আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা নেই।তবে উক্ত অধ্যায়ের ৩২০ ধারায় গুরুতর আঘাতের সংজ্ঞা দেয়া আছে যার মধ্যে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা অপরাধটি অন্তভুর্ক্ত করা যায়। ৩২০ ধারায় উল্লেখিত গুরুতর আঘাতের সংজ্ঞা বিশ্লেষন করলে পাওয়া যে,আট শ্রেনীর আঘাতকে গুরুতর আঘাত হিসেবে গন্য হবে। উক্ত আট শ্রেনীর আঘাত হলো ১)পুরুষত্বহীন করা,২)স্থায়ীভাবে দুই চোখের যেকোনটিতে দৃষ্টিশক্তি রহিতকরন,৩)স্থায়ীভাবে দুই কানের যেকোনটিতে শ্রবনশক্তি রহিতকরন,৪) যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির অনিষ্ঠ সাধন,৫)যেকোন অঙ্গ বা গ্রন্থির কর্মশক্তিসমূহের বিনাশ বা স্থায়ী ক্ষতি সাধন,৬) মস্তক বা মুখমন্ডলের স্থায়ী বিকৃতি,৭)হাড় বা দন্ত ভঙ্গ বা গ্রন্থিচ্যুতিকরন,৮)যে আঘাত জীবন বিপন্ন করে বা আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বিশদিন মেয়াদের জন্য তীব্র দৈহিল যন্ত্রনা দান করে বা তাকে তার সাধারন পেশা অনুসরন করতে অসমর্থ করে।

 

 

উক্ত আট শ্রেনীর আঘাতের মধ্যে ১,৪ ও ৫নং শ্রেনীর আঘাতের সবগুলো বা যেকোন একশ্রেনীর আঘাত পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলাকে অন্তর্ভুক্ত করে বিধায় দন্ডবিধির ৩২০ ধারার সংজ্ঞা অনুযায়ী পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অপরাধ একটি মারাত্মক আঘাতের অপরাধ।উক্ত মারাত্মক আঘাতের শাস্তি ৩২৫ ও ৩২৬ ধারায় দেয়া আছে।৩২৫ ধারা প্রযোজ্য হবে যদি মারাত্মক আঘাতের জন্য কোন অস্ত্র ব্যবহার না করা হয় বা সাধারন(ভোতা) অস্ত্র ব্যবহার করা হয়,উক্ত ধারা অনুযায়ী অপরাধীর শাস্তি ৭ বৎসর কারাদন্ড এবং জরিমানা হতে পারে।অন্যদিকে ৩২৬ ধারা প্রযোজ্য হবে যদি মারাত্মক আঘাত সংঘটনের জন্য মারাত্মক বা বিপদজনক অস্ত্র বা মাধ্যম ব্যবহার করা হয়।উক্ত ধারা অনুযায়ী অপরাধীর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা যেকোন বর্ননার কারাদন্ড যা দশ বছর পর্যন্ত হতে পারে এবং জরিমানা হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌