ফেনী জেলা প্রতিনিধিঃ জাহিদ হাসান চৌধুরী
শনিবার রাত আনুমানিক ৯.৩০ মিনিট (৩১ জুলাই) ফেনীর পোস্ট এর সাংবাদিক Harunur Rashid Mridha কল দিয়ে বললো একটা অক্সিজেন প্রয়োজন mh jahid sawn (ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) এর বাবার অক্সিজেনের প্রয়োজন।
রাজাপুর থেকেই অক্সিজেন ব্যবস্থা হলেও কিন্তু রাজাপুরের কোথাও অক্সিজেন মাস্ক না পাওয়ায় জাহিদ আলাউদ্দিনকে কল দিয়ে বললো অক্সিজেন মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। তখন আলাউদ্দিন মাস্ক নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়ে রাত ৯ঃ৩০ মিনিটে সুলভ মূল্য পাওয়ার আসায় ছুটে যায় লাজ ফার্মায়। বেশ কিছুদিন অক্সিজেন সেবায় কাজের নিয়োজিত থাকার কারণে অক্সিজেন কেন্দ্রীক অনেক সার্জিক্যাল আইটেমের দাম জানা আছে। বর্তমানে কোভিট-১৯ মহামারী কারণে সরকারী এম পি, মন্ত্রী সহ বিভিন্ন কাজে কর্মে যারা নিয়োজিত রয়েছেন তারা ব্যতিত কেহ ভালো নেই। গেল বছর পুরা বছর জুড়ে ছিলো কোভিট-১৯ এর ভয়াবহতার এক কঠিন চেলেঞ্জ। যারা প্রাইভেট ফার্মে কাজ করতো তাদের মধ্যে অনেকের চাকুরী নেই। যারা ছোটখাট দোকান করে নিজের পরিবার পরিজনদের নিয়ে দু মুটো ডাল-ভাত খেতো আজকে তাদের অবস্থাও খুবই নাজুক। তারা পারছে না কাউকে কিছু বলতে পারছে না কারো কাছে কিছু চাইতে, এহেন পরিস্থিতিতে তারা নিরবে নিবৃতে কষ্টের লাঙ্গল যোয়াল কাঁধে নিয়ে চলছে। এর চেয়েও কষ্টের কারণ বেশি হয়ে দাড়ায় তখন, যখন দেখা যায় কোন সার্ভিস বা সেবা প্রদান প্রতিষ্ঠান নিয়মের বাহির নিজেদের ইচ্ছে মতে কোন জিনিসপত্রের দাম বসায়। তেমনি একটা ঘটনা ঘটে গেছে দেশে সু-নামধন্য প্রতিষ্ঠান ফেনীর লাজ ফার্মাতে।)
এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটা অক্সিজেন মাস্ক কিনেছেন ১০০টাকা দামে। ৩টা জিনিসের অর্ডার করল একটা অক্সিজেন মাস্ক, রাইচ টিউব ও সিরিজ মোট দাম দিলো ২৫০টাকা দাম শুনে অক্সিজেন মাস্ক কত জানতে চাইলে কাউন্টার থেকে বললো ১৮০টাকা আলাউদ্দিন বললো এটি ১০০টাকা দামে বেশ কয়েকবার কেনা হলো।
ওরা এই কোম্পানি সেই কোম্পানি নানা লেকচার দিলো সর্বশেষ এখন থেকে না নিয়ে, চলে গেলো ট্রাংক রোড শাহ জালাল সার্জিক্যাল, সেখানে গিয়ে সেইম মাস্ক (jmi oxygen mask) ১০০টাকা সহ তিন আইটেমের দাম নিয়েছে ১৫০টাকা। ব্যবধান হলো ১০০টাকা সাধারণ ছোট তিন আইটেমের দাম যদি এতো ব্যবধান করে বড় ও বেশি আইটেমের কি অবস্থা।
উনি হয়তো জিজ্ঞেস করছে বিদায় দাম জানার কারণে কেনা হলো না। যারা জিজ্ঞেস করে না, দাম জানে না তাদের কি অবস্থা।
দুঃখজনক হলো দেশের ক্লান্তি লগ্নে মানুষের বেহাল অবস্থায় এমন জালিয়াতি কখনো মেনে নেয়া যায় না। এমন হাজারো অনিয়ম বিভিন্ন মেডিসিন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সাথে হয়ে থাকে।