ফেনী জেলা প্রতিনিধিঃ জাহিদ হাসান চৌধুরী
বদলে যাচ্ছে দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবকাঠামো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম যোগদানের পর থেকেই ক্রমাগত বদলে যাচ্ছে এ হাসপাতালটি। তার নেতৃত্বে চলেছে দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যাপক উন্নয়নের কাজ। আধুনিক পরিচ্ছন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হিসেবে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ইতিমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম সারা দেশে সেরা নির্বাচিত হয়ে মিনিস্টার এ্যাওয়ার্ড ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় (স্বাস্থ্য) পুরস্কার অর্জন করেন। দাগনভূঁঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে অনেকের জন্যেই। নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও নিজস্ব দক্ষতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিবর্তন দেখা গেছে সৌন্দর্যবর্ধনেও । ঐতিহ্যের পাশাপাশি আধুনিকতার ছাপ পাওয়া যায় এ হাসপাতালে ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম চালু করেছেন উপজেলা পর্যায়ে দেশে সর্বপ্রথম সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেমসহ করোনা ওয়ার্ড, গর্ভবতী মায়েদের জন্য এএনসি ও পিএনসি প্যাকেজ, মুক্তিযোদ্ধা ও বৃদ্ধদের জন্য আলাদা কর্ণার, জরুরী বিভাগ আধুনিকায়ন করে ক্রেসিং লাইট ও স্ক্রেনিং সিস্টেম চালু, উপজেলা পরিষদের সহয়তায় ও জাইকার মাধ্যমে প্রাপ্ত সেমিঅটো এনালাইজার এর মাধ্যমে প্যাথলজী চালু, সিজার ও নরমাল ডেলিভারি রোগী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, রেপিড এনটিজেন টেষ্ট, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর সংযোজন, ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার স্থাপন, অন্তঃবিভাগে শিশুদের জন্য কিডস্ জোন, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও জনচেতনতার জন্য বর্হিবিভাগে টিভি স্থাপন, জীন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন, রেকর্ড সংখক ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে বিপুল অর্থ জমা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানার জন্য মুজিব কর্ণারসহ আরও অনেক কিছু।
হাসপাতালের পরিবেশের প্রশংসা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভর্তি রোগি পারভীন আক্তার বলেন, আমি আজ ৪দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছি। চিকিৎসক ও নার্সরা আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেবার মান অতিতের যেকোন সময় থেকে খুবই ভালো।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জুলফিকার হাসান বলেন, যেদিন থেকে ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম স্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন, সেই দিন থেকেই অল্প অল্প করে পাল্টাতে থাকে হাসপাতালে দৃশ্য। ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম স্যার এর নেতৃত্বে চিকিৎসকদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সারাদেশে সেরা হয়েছে এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । আমরা আশাবাদী সামনের দিনগুলোতে আরও উন্নয়ন হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার অনুমোদন থাকলেও ৩১ শয্যার জনবলও নেই। আমরা সীমিত জনবল নিয়েও সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি । বর্তমান সরকার ও সকলের সহযোগিতায় হাসপাতালে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে। এ হাসপাতালটিকে একটি আধুনিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।