মেজবা রহমান;বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি :
বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থী সালাউদ্দীন বিমান আবিষ্কার করে তাক লাগিয়েছেন এলাকার মানুষকে। তার আবিষ্কার করা বিমান উড়ছে আকাশে। হঠাৎ নিজ এলাকা থেকে শহরের জেলা স্কুল মাঠে বিমান নিয়ে হাজির হন সালাউদ্দিন। সেখানে নিজের ইচ্ছেমতো উড়াতে থাকেন তৈরি করা বিমানটি। তা স্থানীয়দেরও মন কাড়ে।
দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সালাউদ্দীনের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে বিমানের পাইলট হবেন। কিন্তু দরিদ্রতা ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি সালাউদ্দীনকে। ২০১৭ সালে পরীক্ষামূলকভাবে দূরপাল্লার চালকবিহীন বিমান তৈরির কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ ৪ বছরের প্রচেষ্টায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান উড্ডয়ন করতে সক্ষম হন সালাউদ্দীন।
জেলার রানীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান সালাউদ্দীন। গ্রামের কলেজ থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে গোপালগঞ্জ জেলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে কৃষি বিভাগে ভর্তি হন। কৃষি বিভাগের ছাত্র হলেও বিজ্ঞান বিষয়ে আগ্রহ ছিল বেশ। দীর্ঘ গবেষণায় বাঁশ, কাঠ, ককশিট, ফোমশিট ব্যবহার করে ড্রোন প্রযুক্তিতে বিমান বানাতে সক্ষম হয়। যার ওজন ১ কেজি।
পরীক্ষামূলক এই বিমানটি পাঁচ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণ রেখার ভিতরে সর্বোচ্চ ২ হাজার ফুট উচ্চতায় এবং ১০০ কিলোমিটার গতিতে ২০ মিনিট উড্ডয়ন করতে পারে। তবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব বলে মত সালাউদ্দিনের।
স্থানীয়রা জানান, সালাউদ্দীনের হাতে তৈরি করা বিমান আকাশে উড়ছে দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। এ ধরনের শিক্ষার্থীদের পাশে সরকারকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তাহলে তারা আরো ভাল ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই তার উদ্ভাবনী অসাধারণ। সে চেষ্টা করে সফল হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো তার পাশে থেকে সহযোগিতা করার।