ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ডা. এম এ কাশেমের স্ত্রী, তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বেগম হাফিজুন্নেসার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক শোক বার্তায় এ কথা জানায়।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বেগম হাফিজুন্নেসা রোববার (০১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীতে তার ছোট ছেলের বাসায় বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
বেগম হাফিজুন্নেসার ছেলে বাসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক (সিএনই) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমার মা আজ সন্ধ্যায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আমার ছোট ভাইয়ের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।’
হাফিজুন্নেছা তৎকালীন মাদারীপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছয় পুত্র, এক মেয়ে এবং বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার চিকিৎসক স্বামী মরহুম এম এ কাশেম ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), তৎকালীন মাদারীপুর (বর্তমান শরীয়তপুর) আসনের জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ), মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও আওয়ামী লীগ নেতা।
বেগম হাফিজুন্নেসার তিন পুত্র ও এক মেয়ে পেশায় চিকিৎসক। তার তৃতীয় সন্তান অধ্যাপক ড. এজেডএম মোস্তাক হোসেন তুহিন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (আরএমইউ) উপাচার্য।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দাফনের জন্য তার মরদেহ সোমবার (০৩ আগস্ট) মাদারীপুর নিয়ে যাওয়া হবে। নামাজে জানাজার পর সেখানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।