সালাহ উদ্দিন সৈকত(গাজীপুর প্রতিনিধি)
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডঘর-চান্দাবহ সড়কের সুত্রাপুর ইউনিয়নের কাঠালতলী এলাকায় বহু খানাখন্দকের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চারটি উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের এলজিইডি বিভাগের বোর্ডঘর চান্দাবহ সড়কটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কালিয়াকৈর,মির্জাপুর,আশুলিয়া ধামরাই উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে প্রচুর যানবাহন চলাচল করছে।ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সুত্রাপুর ইউনিয়নের বোর্ডঘর নামক স্থানের সাথে সংযুক্ত হওয়ায় চারটি উপজেলার ব্যবসায়িক পণ্যপরিবহন ও যাত্রী সাধারণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ,অবহেলিত সূত্রাপুর ইউনিয়নে উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। গতবছর বন্যায় বোর্ডঘর চান্দাবহ সড়কের কাঠালতলী এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়।ফলে রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর গর্ত ও খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়।অপরদিকে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল লিমিটেড কাঠালতলী এলাকায় নতুন কারখানা নির্মাণের জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করে ড্রামট্রাক দিয়ে মাটি ভড়াট করার কারণে রাস্তার অনেক জায়গায় গর্ত ও ধসে পড়েছে। দীর্ঘ এক বছরেও রাস্তার সংস্কার না করার কারণে চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত যানবাহন খানা খন্দকের গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এবং সিএনজি ও অটোরিকশা উল্টে যাত্রীদের হতাহতের ঘটনা ঘটছে সরেজমিনে গেলে রাস্তার বেহাল অবস্থা দেখে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে বহুবার বলার পরেও রাস্তা সংস্কারের কোন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছে না।এ ব্যাপারে সূত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বজলুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি ।
কালিয়াকৈর উপজেলা প্রকৌশলী বিপ্লব পাল জানান,”এ উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি,এই রাস্তা সম্পর্কে আমার জানা নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।”