মোঃ রবিউল ইসলাম,জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
“আমি তো কিছুই করতে পারিনা। পায়ের সমস্যা। তিন বছর যাবত ঘরে পড়ছি। আগে মানুষের বাসায় কাজ কইরা খাইতাম। পায়ের সমস্যাই তাও করতে পাইনা। আমার স্বামী নাই, পোলাপান ও নাই। আমারে এডা কাট করে দিলে আন্নের জন্যে দোয়া করতাম”
ভিডিওতে “দৈনিক আমাদের সংগ্রাম” কে এমনটাই বলেছেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মনোয়ারা বেগম।
স্বামী ১৫ থেকে ২০ বছর আগে মারা যায়। নেই কোন সন্তান ও। স্বামী মারা যাওয়ায় স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে বোনের বাড়ি আশ্রয় নেয় সে।
সরিষাবাড়ী থানায় ও মানুষের বাড়ী কাজের বেটি হয়ে কাজ করে কোন রকম পেটে ভাত যেত। কিন্তু বার্ধক্যজনিত কারণে এক পায়ে ব্যথা হয়ে যাওয়ায় এখন বাড়িতে খুব কষ্টে দিনানিপাত করছেন স্বামী, সন্তান ও ভূমিহীন এই মহিলা।
গত ২০ মার্চ ২০২১ তারিখে সোশ্যাল মাধ্যমে তার সাক্ষাৎকারের ভিড়িও ভাইরাল হলে তা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহিদ নাঈম এর চোখে পড়ে। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত এই মহিলার আর্তনাদের সংবাদ দেখে জাহিদ নাঈম বিষয়টি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান কে অবগত করলে প্রতিমন্ত্রী তাকে নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং অন্যান্য সমস্যা পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
আর্থিক সহযোগিতা ও সমস্যা দূরীকরণের ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পেয়ে মনোয়ারা বেগম খুশিতে অশ্রুসিক্ত হোন।
মনোয়ারা বেগম সহ প্রতিবেশী মানুষেরা তথ্যপ্রতিমন্ত্রীর এহেন কাজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।