• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মনপুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু,নানা মহলের শোক প্রকাশ! ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশ স্কুল বাহরাইনের উদ্যোগে মরহুম গোলাম রব্বানীর স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল বাহরাইনে আল হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন – জো বাইডেন চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবে – ব্লুমবার্গ হজ্ব যাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বাড়ালেন ধর্ম মন্ত্রণালয় আ. লীগের নেতৃত্বেই দেশে ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের পরিবেশ মন্ত্রীর নির্দেশের পর সড়কের কাজ শুরু

ভোলার দৌলতখান দুই বোন ফারজানা(১৩)ও আরজু(১০) চা বিক্রির করে সংসার চালায়

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ২৬৪ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: শনিবার, ১০ জুলাই, ২০২১

সিমা বেগম ভোলাঃ

 

ভোলা দৌলতখান উপজেলার তিন বোন দুই বোন ফারজানা ও আরজু চা বিক্রির করে,সংসার চালায়। ফারজানা আক্তার,ঘুইংগার” হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের” সপ্তম শ্রেণী ছাত্রী, এবং আরজু বেগম,ঘুইংগার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী।বাবার অসুস্থতার কারণে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন দুই বোন।

 

 

বাবা একজন ঝালমুড়ি বিক্রতা, ঝালমুড়ি বিক্রি করতেন স্কুলের সামনে এবং সেই টাকা দিয়ে মেয়েদের পড়াশোনা খরচ এবং সংসারের খরচ চালাতেন কিন্তু বিশ্বের মহমারি করোনা ভাইরাস এর কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় তেমন ঝালমুড়ি বিক্রি করতে পারছেন না,মাঝে মধ্য ঘুইংগার হাট বাজার ঝালমুড়ি বিক্রি করেন তাও এখন করতে পারছেন না। ফারজানা বাবা মোঃ নূর আলম অসুস্থ হয়ে পড়ার কারনে, তাদের সংসার চালাতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়ে এ দুই কিশোরী ছাত্রী তার পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটলেও সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন।

 

আগে যেখানে সকাল হলে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেন, এখন দুই বোন ভোর হলে চলে আসেন পারার ছোট একটা চায়ের দোকানে। সেখানেই সংসারের খরচ মেটাতে দিন পার করেন এই দুই কিশোরী শিক্ষার্থী।

 

প্রতিদিন যা রোজগার হয় তা দিয়ে অভাবের সংসারের খরচ বহন করেন এবং যোগান দিতে হয় বাবার চিকিৎসা খরচও।

 

ফারাজনা আক্তার ও আরজু বেগম ভোলা দৌলতখান উপজেলার উত্তর দিঘলদীর ইউনিয়ন এর ১নং ওয়ার্ডের গহের আলী পন্ডিত বাড়ির মোঃ নূর আলম এর মেয়ে, এর তিন মেয়ের মধ্যে ফারজানা হলো প্রথম এবং আরজু বেগম দ্বিতীয় এবং তাদের ছোট বোন মিনজু তার বয়স (৪) । বুক ভরা আশা নিয়ে পড়ালেখা শুরু করলেও বাবার অসুস্থতা ও মা প্রতিবন্ধীর কারণে তাদের পড়ালেখা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

 

ফারজানা আক্তার জানায়, তাদের ইচ্ছা পড়ালেখা শিখে একজন স্কুল শিক্ষিকা বা ভাল কোনো চাকুরি করে বাবাকে সহযোগিতা করবেন। কিন্তু বাবা মাঝে মধ্য অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মা একজন প্রতিবন্ধী । তাই দোকান তাদের দুই বোনকেই সামলাতে হয়।

 

ফারজানা আক্তার কিশোরী শিক্ষার্থী বলেন,দোকান শেষে বাড়ি গিয়ে বাড়ির কাজ কর্ম শেষ করে একটু পড়ালেখা করি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌