বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিন কাচিয়া ইউনিয়নে ৮ নং ওয়ার্ডের কালিহাটের দক্ষিণ পাশে হাওলাদার বাড়িতে, শ্বশুর, স্বামী ও ভাসুর কর্তিক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়। উক্ত অভিযোগ কারী, গৃহবধূ রুমা বেগম জানান। আমার সন্তানকে আমি শাসন করছি বলে। আমার স্বামী মোঃ কাঞ্চন ও আমার শ্বশুর মোঃ হাফেজ ও আমার ভাসুর মোঃ মাকসুদ, ইলিয়াস, এরশাদ সহ আমাকে বাপক মারধর করে এবং তারা বিভিন্ন সময় আমাকে নির্যাতন করে আসছে, সেইদিন আমার বাড়িতে আমার বাবা, মা, ভাইয়েরা আমাকে নিতে আসলে তাদেরকেও মারধর করে। আমার স্বামী বিভিন্ন সময় আমার প্রতি অমানবিক নির্যাতন করে আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি তাকে কিছুই বলেনা। রুমা বেগম আরও বলেন আমি আমার উপর নির্যাতন ও আমার বাবা, মা, ও ভাইদের উপর নির্যাতনের সঠিক বিচার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে চাই।
রুমার বেগমের, বাবা একই উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ কালু মিয়া, আমাদের জানান আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও আমার জামাই সহ তার বড় ভাইয়েরা আমার মেয়েকে মারধর করে। আমার মেয়ের উপর এই নির্যাতন আমি মেনে নিতে পারছি না, সেদিন আমার মেয়েকে আনতে গেলে। আমাকে ও আমার স্ত্রী সহ আমার ছেলেদের কে অমানবিক নির্যাতন করে তাই আমি দিশেহারা হয়ে, বোরহানউদ্দিন থানায় অভিযোগ করি।
এদিকে ঐ এলাকার পাশের পন্ডিত বাড়ির হোসনেয়ারা বেগম নামে এক মহিলা আমাদের জানান, এই রুমা বেগমের ৭ বছর বিয়ে হয় এর মধ্যে রুমার স্বামী, শ্বশুর বিভিন্ন সময় তাকে মারধর ও অমানবিক নির্যাতন করে আসছে তাদেরকে কিছু বলতে গেলে তারা আমাদের দিকে তেড়ে আসে। এদিকে ঐ এলাকার স্থানীয় মেম্বার মোঃ দীনইসলাম আমাদের জানান, রুমার শ্বশুরের মোঃ হাফেজের সালিশ বিচার করতে করতে আমি নিজে ক্লান্ত, তারা এলাকায় বেয়াদব নামে খুব পরিচিত।
এদিকে এই বিষয় জানতে ঘটনা স্থানে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিকে রুমা বেগমের, পিতা কালু মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বোরহানউদ্দিন থানা থেকে পুলিশ এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার বাবা ও ভাইয়ের হাতে তুলে দেন।।