সজীব মোল্লা, মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি।।
ভোলার মনপুরা উপজেলায় আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে পশুরহাটে হাট-বাজার জমজমাট।এবারের মনপুরায় মোট চিহ্নিত প্রধান ছয়টি-বাজার তার মধ্যে মনপুরার সাকুচিয়া ইউনিয়নে অন্যতম বড় পশুরহাট হচ্ছে বাংলাবাজার।
আজ রবিবার ১১,জুন ও বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দুই দিন এই হাট বসবে বাংলাবাজার। তারই ধারাবাহিকতা আজ কোরবানির পশুর হাটের ইতিমধ্যে ক্রেতাদের সমাগন ও উপস্তিতি লক্ষ্য করা গেছে।যদিও করোনার কারনে বিক্রেতার উপস্থিতি কম থাকলে বিক্রেতারা আসছেন এবং তাদের পছন্দের পশুটি দামদর কষছেন। তবে বর্তমান করোনা লকডাউনে মহামারীতে সাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা-বিক্রেতাগন পশুর হাটে আসার কথা থাকলে সাস্থ্যবিধির মানতে অনিহা দেখা গিয়েছে। নেইকোন করোনা সতর্কতা বা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানার কোন প্রকার পদক্ষেপ। যদিও পশুরহাটে বাজার সীমিত পরিসরে সাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসার কথা রয়েছে।
এদিকে সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজার পশুর হাটের ইজারাদার মোহাম্মদ জামাল জানান দুপুর ০২টা থেকে ৫টা ঘটিকায় পর্যন্ত কোরবানি পশুর হাটে বেচাকেনার চলমান থাকার অনুমতি রয়েছে।
করোনা মহামারীতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাট বসার কথা থাকলেও কিন্তু তা যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মধ্যে মাক্স পরিধানের নেই কোন প্রবনতা।আবার অনেকে মাস্ক থাকলেও অবহেলায় তা পকেটেই রেখেই যেন শোভা দেন। এছাড়া উভয়ের মধ্যে নেই কোন সামাজিক দুরত্ব ক্রেতা বিক্রেতা কেউ মানছেন না বিধিনিষেধ।
এবিষয়ে মনপুরার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষহতে করোনার লকডাউনে পশুরহাট পদক্ষেপ বিষয়ে জানতে চাইলে,মনপুরার উপজেলার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন আমরা করোনা সতর্কতা ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের হাটে নিয়মিত রাখার পদক্ষেপ নিচ্ছি। নিরাপত্তা বাহিনী সবসময় মাঠে থাকবে এবং আগামি পশুরহাট গুলোতে ইজারাদার ও বাজার কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলেও জানান তিনি।