এম এইচ ফাহাদ,বিশেষ প্রতিনিধি!!
ভোলার বিশিষ্ট সমাজসেবক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এর প্রতিচ্ছবি ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকীব। গত(২৮জুলাই২০২০)ইং “তদন্তচিত্র ডট.কম” নামে অনলাইন পত্রিকায় মিথ্যা বানোয়াট ও ভুল তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম”ভোলার মেঘনার বালুদস্যু শেঠ নকীব-শামীম বাহিনী পুলিশের কম্বিং অপারেশন”মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তলন,ঘাট চরানঞ্চলে ভূমিদস্যুতার একক আধিপত্য বিস্তার সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভুল তথ্যদিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।এমন সংবাদ গণমাধ্যম প্রকাশের পর পরই জেলার রাজনৈতিক সামাজিক সুশীল ব্যক্তিবর্গরা ক্ষোভ নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন।সমাজের একজন আলোকিত সন্মানী ব্যক্তির বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের তীব্র প্রতিবাদে এসব পোর্টাল বর্জণের ঘোষণা দেয় তারা। এবিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আজিজুল ইসলাম ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকীব একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও পরিচ্ছন রাজনীতিবিদ। যিনি জননেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের আদর্শে উজ্জীবীত তার বিশ্বস্ত সেনাপতি ও দক্ষ সংগঠক।তিনি দানশীল ব্যক্তিও বটে।দলের সবার জন্য নিবেদিত প্রান।তাকে নিয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করা মানেই জননেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপির ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার চক্রান্ত।রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ছোটন মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন,জহুরুল ইসলাম নকীব ভাই কর্মীবান্ধব নেতা।যিনি দলের দুঃসময়ে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে পাশে দাড়ান। রাজনীতির বাইরেও তিনি সমাজকর্মী ও উদার মনের মানুষ।তিনি তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মাদ্রাসা মসজিদসহ বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিলে উন্নয়নমুলক কাজে সহয়তা করে থাকেন। ভোলা জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম,প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিক্রিয়া বলেন, জহুরুল ইসলাম নকীব ভাই জননেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদের অত্যন্ত আস্থাবাজন ব্যক্তি।নেতার কাছে তার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এ’ধরণের সংবাদ প্রচার করা হয়।তার মতে সংবাদে আনিত অভিযোগ গুলো সম্পুর্ন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা মুলক। ভোলা জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক আবু সায়েম জানান,দলের সন্মানিত ব্যক্তিদের সুনাম নষ্ট করার এখন অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে বর্তমানে অনলাইন বা গনমাধ্যম। তাই মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায় দুষ্ট মহল।জহুরুল ইসলাম নকীব ভাইর নামে বদনাম করতে পারলেই ভোলায় জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপির ভাবমূর্তি বিনষ্ট সম্ববপর হবে বলে তাদের ধারণা। অপর এক বিবৃতিতে প্রবীণ সাংবাদিক ও জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, এম.এ.তাহের বলেন-জহুরুল ইসলাম নকীব ভোলার গণমাধ্যমের কাছে পরিছন্ন এক নাম।আমি কখনো তাকে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে অন্যায় অপরাধকে প্রশ্রয় দিতে দেখিনি। সাংবাদিক সামাজকর্মী এবং জেলা নারী-শিশু নির্যাতন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির জেলার সংগঠক এডভোকেট শাহাদাত শাহিন বলেন,
জহুরুল ইসলাম নকীব ভাই শুধু রাজনৈতিক ব্যক্তি নন,তিনি একজন সুশীল সামাজকর্মীও বটে। তিনি ভোলার দুর্গোম চরাঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বাল্যবিবাহ, মাদক সন্ত্রাস ও ইভটিজিং প্রতিরোধে সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।তাছাড়া গরীব দরিদ্র অসংখ্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচসহ শিক্ষা উপকরণ দিয়ে তাদের সহায়তা করে মানবিক পরিচয় দিয়েছেন।তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে তার জনপ্রিয়তা কখনো প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্বব নয় বলে জানান তিনি।
প্রকাশিত সংবাদের ভোলার মেঘনার জাহাজ কার্গো নৌ-যান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ফেডারেশনের জেলার সভাপতি নোমান পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া জানান লঞ্চ ঘাটের দুর্নীতি ও নদীর কার্গো জাহাজে চাঁদা সংক্রান্ত বিষয়ে জনাব জহুরুল ইসলাম নকীব,তার ভাতিজা আনোয়ার হোসেন শামীম মুরাদারকে জড়িয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায় আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। তারা বলেন মেঘনা ঘাটে নদীতে একটি পক্ষ ভুয়া সংগঠনের নামে দীর্ঘদিন চাদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। এসব অপকর্মের মুলহোতা বিএনপির প্রিন্স বাবু গোলদার সহ আসলাম গংরা। ক্যাডার বাহিনী দিয়ে তারা চাদাবাজি অপকর্ম পরিচালনা করতো। ঘাটের শ্রমিক, জেলে মালবাহী কার্গো ট্রলার জাহাজ গুলোকে জিম্মি করে ছিনতাই লুট ডাকাতি চালাতো। ঘাটের পরিবেশ রক্ষায় শ্রমিক ও ঘাট মালিক সমিতির মিলে ভোলা জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা লিখিত অভিযোগ করি আমরা।এর ফলে তারা সাধারণ শ্রমিক ও সংগঠনের সদদ্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস ভাংচুর সহ ঘাটের কর্মরত শ্রমিকদের মারধর করে।পরে ০৫ জুলাই সংগঠনের পক্ষহতে জেলার সংবাদকর্মীদের সংবাদ সন্মেলন করে সাংবাদিকদের বিষয়টি তুলেধরা হয়।তার আরো জানান,নদীর ঘাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাধ্যহয়েই নিরাপত্তা চেয়ে জহুরুল ইসলাম নকীব ভাইর সহয়তা চাই।পরে পুলিশ প্রশাসনের পদক্ষেপ তাদের অপকর্ম নির্যাতন থেকে কিছুটা সস্তিতে ঘাট পরিচালনা সাহস পাই আমরা।
এদিকে অনুসন্ধানে মেঘনা নদীতে অবৈধ বালু উউত্তোলন চরাঞ্চচলে জমি দখল, প্রকাশিত সংবাদের অভিযোগ সরজমিনে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি।সেখানকার স্থানীয় কৃষক, জেলে মাঝিসহ সাধারণ মানুষ জানান একসময় জলদস্যুর চুরি ডাকাতির আতংকে ভয়ে দিন কাটাতেন তারা। তবে এ’বিষয়ে জননেতার তোফায়েল আহমেদ এমপির হস্তক্ষেপ চেয়ে,জহুরুল ইসলাম নকীবের সমন্বয়ে পুলিশ প্রশাসনে কঠোর পদক্ষেপের পর এখন শান্তিতে বসবাস করছেন বলেও জানান তারা। এছাড়া ভোলার মাঝের চরসহ বিভিন্ন দুর্গম চরঅঞ্চলে ভোলা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপির নির্দেশনায় মুজিব শতবর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে মুজিব কেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড করেন জহুরুল ইসলাম নকীব।রাস্তাঘাট পুল-কালভার্ট সাইক্লোন সেল্টার সংস্কার ও পুর্ণ নির্মান যথেষ্ট ভুমিকা রয়েছে তার। মেঘনার পয়েন্ট নদী ভাংগনসহ বেড়িবাঁধ সংস্করণ,নির্মান অবদান রেখেছেন তিনি।বর্তমানে করোনা মহামারী জননেতা তোফায়েল আহমেদ এমপির নির্দেশে খেটে-খাওয়া হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রান খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ করোনায় সরকারি বিধিনিষেধ মেনে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ঘরে সুরক্ষিত রাখতে তিনিবসচেতনতা মুলক কাজে নিজেকে উৎসর্গ করে গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে আস্থার ও জনপ্রিয় একজন সেবক হয়ে উঠেন ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীব।
একজন সন্মানিত সমাজসেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তির নামে মিথ্যা তথ্যদিয়ে সংবাদ কেন? তদন্তচিত্র ডট কমের সম্পাদক ও প্রকাশক জিয়াউর রহমানকে জিজ্ঞেস করলে, উত্তরে বলেন,সংবাদটি তার পত্রিকায় ভোলার প্রতিনিধির পাঠানো।যদি তথ্যপ্রমাণ ভুল প্রমাণিত হয়,তিনি তার পত্রিকার পক্ষহতে উক্ত সংবাদের প্রতিবাদ দিবেন বলেও জানান।