• শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মনপুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু,নানা মহলের শোক প্রকাশ! ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন’র ইফতার ও দোয়া মাহফিল বাংলাদেশ স্কুল বাহরাইনের উদ্যোগে মরহুম গোলাম রব্বানীর স্মরণে দোয়া ও ইফতার মাহফিল বাহরাইনে আল হেরা শিল্পী গোষ্ঠীর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন – জো বাইডেন চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করবে – ব্লুমবার্গ হজ্ব যাত্রীদের নিবন্ধনের সময় বাড়ালেন ধর্ম মন্ত্রণালয় আ. লীগের নেতৃত্বেই দেশে ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: ওবায়দুল কাদের পরিবেশ মন্ত্রীর নির্দেশের পর সড়কের কাজ শুরু

ভোলায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও হরিলুট

দৈনিক আমাদের সংগ্রাম | পত্রিকা..... / ৪৩৭ জন পড়েছে
প্রকাশিত সময়: মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি।।

মুজিব শতবর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীনদের বসতঘর প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত ভোলার দৌলতখান উপজেলায় হরিলুট ও দূর্নীতির আয়োজনে নগদ অর্থ আত্মসাৎ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দৌলতখান উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে মোট ৪২টি ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়। যারমধ্যে চরপাতা ইউনিয়নে ঘর বরাদ্ধ হয় ৪০টি। এবং একটি উত্তর জয়নগর ও অপর ১টি দৌলতখান পৌরসভায়। তবে ৪২টি বসতঘর বিভিন্ন নামে বেনামে প্রকল্প পরিচালক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার হোসেনের সহয়তায় ব্যক্তিগত ঠিকাদারকে ঘর নির্মানের দায়িত্ব দিয়ে একক আধিপত্য করেন আকতার হোসেন। তাইতো বিভিন্ন নামে বেনামে অবৈধভাবে অর্থ আত্মসাৎ করান তার হাতে।
রাজমিস্ত্রি থেকে উপজেলায় প্রকল্পের চাকুরির সুবাধে ইওএনও সাথে সক্ষতা গড়ে উঠে আক্তারের। সরকারি প্রকল্পের দুর্নীতির করার মাস্টার মাইন্ড ও ইওএনোর ম্যানেজার হয় আকতার হোসেন।পরে প্রকল্পের ঠিকাদারের দায়িত্বভার গ্রহণ করে হরিলুট করা আকতার হন চোরের সাক্ষী মাতব্বর।তাইতো ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ৯ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা দিনমজুর হয়েও নির্মান করেছেন আলিসান বাড়ি।দৌলতখান উপজেলার নির্বাহীর এজেন্ট হয়ে ঘর প্রকল্পের ব্যক্তিগত ঠিকাদার দায়িত্ব পেয়ে প্রকল্পে করা দূর্নীতি ২য় শীর্ষে রয়েছেন তিনি।
যিনি বিভিন্ন নামে বেনামে নিজ নামেও সরকারি ৫-৭টি ঘর বরাদ্দ করে নেন।এসকল ঘর গৃহহীনদের সরকারি খাসজমিতে নির্মানের কথা থাকলেও অধিকাংশ ঘর আকতার হোসেনের একক আধিপত্যই মালিকানাধীন জমিতে বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে জানা যায়।এছাড়াও কিছু ঘর উপজেলার সরকারি কর্মচারীদের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সুপারিশ নামেও বরাদ্দ দেয়া হয়।

প্রকল্পের ঘরগুলো বিভিন্ন খাস জমিতে নির্মানের কথা থাকলেও অধিকাংশ ঘর উত্তোলন করা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে।তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় চরপাতা ইউনিয়ন চরখলিফা ৮নং ওয়ার্ডে ৯টি ঘরের খাস জমিতে নির্মানে সসত্যতা পাওয়া গেলেও অধিকাংশ ঘরের মালিকদের কাছ থেকে ঠিকাদার আকতার হোসেন ঘর উত্তোলন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ মিস্ত্রিদের খাবার খরচসহ অন্যান্য প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় ঘর নির্মানে বাধ্যতামূলক বলে অভিযোগ তাদের।আবার কয়েকটি ঘরের কাজ আংশিক অসমাপ্ত রেখেই নির্মান সম্পন্ন দেখিয়ে কাজের বিল উত্তোলন করেন তিনি।অর্থ আত্মসাৎ করা অনিয়ম সরজমিনে তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রকল্প নিয়ে কতোটা হরিলুট হয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার নিয়ে।

চর খলিফার ৭নং ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায় যেখানে তিনটি ঘর উত্তোলন করা হয় ব্যক্তি মালিকানা জমিতে।যার ঘর মালিকের নাম জাহাঙ্গীর ও আজিজুল নামে দুটি ঘর নির্মান করা হয় নিজস্ব কিনা সম্পত্তির উপর। তাদের দাবি সরকারি এসকল ঘর নিজস্ব জমিতে পেতে প্রতিটি ঘর বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে প্রকল্পের ঠিকাদার আকতার হোসেনকে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। অবৈধ অর্থ নেয়ার মাধ্যমে একই পরিবার দুইটি করে ঘর বরাদ্দ দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে দৌলতখানের ইউএনও কাওসার হোসেনের বিরুদ্ধে। যার অনিয়মের দূর্নীতির অন্যতম শীর্ষ সহযোগী হিসেবে নেপথ্যে আকতার হোসেন। এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়নের ইন্জিনিয়ার তৈয়বুর ইলেক্ট্রশিয়ান সহ জড়িত রয়েছেন বলে জানা যায়। চরপাতা ৮ নং ওয়ার্ডের সেলিম ও তার পুত্র সোহাগ এর নামে রয়েছে দুইটি ঘর। মকবুল আহমেদের পুত্র জাহাঙ্গীর ও আজিজলের নামে দুইটি ঘর, রুহুল আমিনের স্ত্রী মাহমুদার নিজ নামে একটি ও তার জামাতা মাকসুদের নামে আরো একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।অপরদিকে চরখলিফা ৭নং ওয়ার্ডে দেখা তার ভিন্ন চিত্র মোট ৯টি ঘর থাকলেও নির্মানধীন রয়েছে তবে যারমধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে মোট ৫টি ঘর। যেখানে যাদের নামে বরাদ্ধ করা হয়েছে তারা কেউ উক্ত ঘরে বসবাসরত নন। যার একজন মো. সোহাগ যিনি দৌলতখান উপজেলার ইউওনোর ড্রাইভার, উপজেলার চাকুরি রত অপরজন হিন্দু নারী এবং পরিত্যক্ত ঘরগুলি ইওএনো সহয়তায় নামে বেনামে বরাদ্দ করে নেয় আকতার হোসেন।যার একটি তার বোন পারভিন দুটি শালিকার নামকরে বরাদ্দ দেওয়া হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভুমিহীনদের স্বপ্নপুরনে মুজিবর্ষের উপহার ঘরগুলো যেন হরিলুটের একটি বিশাল কারখানায় পরিনত করেন দৌলতখান উপজেলার গুনধর সাবেক ইউএনও কাওছার হোসেন। আর পরিচালনা লুটপাটের দায়িত্ব দেন প্রকল্পের ঠিকাদার আকতার হোসেনকে।

এদিকে ঘর বুঝিয়ে দিলেও অধিকাংশ বাড়িতে নেই কোনো বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা।নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর নির্মান ও কয়েকটি ঘরের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই বিল উত্তোলন করেন। এবং নিজস্ব মালিকানা প্রধানমন্ত্রীর সপ্ন বিক্রি করে আয় করেন লাখ টাকা। দৌলতখানের নির্বাহী কর্মকর্তা ও ঠিকাদার আকতারের বিরুদ্ধে এমনো অভিযোগ ঘর মালিকসহ উপজেলার ভুমিহীনদের।
তবে কাওসার হোসেন বর্তমানে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা নির্বাহ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। উক্ত অনিয়ম ও দূর্নীতি বিরুদ্ধে জানতে চাইলে কাওছার হোসেন জানান, মুজিববর্ষে গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর তৈরি ও বিতরণে তিনি অনিয়ম করেননি। বরং ৪২টি ঘর তৈরিতে তার নাকি ব্যক্তিগত ভাবে আরো ৬ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন বলে জানান।

এসকল প্রকল্পের ঘর নির্মানের অনিয়মের পর গনমাধ্যমে ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে উক্ত বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক তৈফিক ই-লাহী ও এডিসি (রেভিনিউ) মামুন আল ফারুক কে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রথম ধাপে বরাদ্দ দেয়া প্রকল্পের পরিচালক ও দায়িত্বে ঠিকাদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগামী দুই একদিনের মধ্যে একটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন বলেও জানান তিনি। এবিষয়ে অভিযুক্ত আকতার হোসেনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তার অভিযোগের পক্ষে কোন প্রকার সত্যতা বা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করতে পারেনি।জানা যায় নিজের দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে সাংবাদিকদের দমতে স্থানীয় সংবাদিকদের মুখবন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন এই দূর্নীতিবাজ আকতার হোসেন নওয়াব।


আপনার মতামত লিখুন :

One response to “ভোলায় মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও হরিলুট”

  1. mamunhasan says:

    এটা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
    নাকি বাদি বিবাদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখছে,
    বুঝতে পারছিনা,

    প্রতিবেদনের মানের দিকে সম্পাদকের খেয়াল দেওয়া উচিত,
    সাইবার সিকিউরিটি এক্টে মামলা করলে,
    প্রতিবেদক এর সাথে সম্পাদক ও আসামি হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
❌ নিউজ কপি করা নিষিদ্ধ ❌