এমএ শরিফ হাসান ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ঐতিহ্যবাহী ভোলা প্রেসক্লাব নির্বাচন-২০২০’ সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশ বেতারের ভোলা প্রতিনিধি ও দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক এম হাবিবুর রহমান সভাপতি এবং যুগান্তর ও আরটিভির জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ রায় অপু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত অপর সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ-২৪ এর জেলা প্রতিনিধি জুন্নু রায়হান সহ-সভাপতি, বৈশাখী টিভি ও দেশ রূপান্তর’র জেলা প্রতিনিধি হোসাইন সাদী সহ-সম্পাদক, যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ও জিটিভির জেলা প্রতিনিধি এম হেলাল উদ্দিন কোষাধ্যক্ষ, এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি এম ছিদ্দিকুল্লাহ দপ্তর সম্পাদক , ৭১টিভির জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম ক্রীড়া সম্পাদক , বিটিভি ও লাখোকণ্ঠ’র জেলা প্রতিনিধি মো. তৈয়বুর রহমান সাংস্কৃতিক সম্পাদক , মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি মো. মনিরুল ইসলাম পাঠাগার সম্পাদক , সময় টিভি ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার মো. নাছির লিটন এবং একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি মেজবসহ উদ্দিন শিপু নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কমিটি দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ’২০ সুত্র জানায়, ১১টি পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন। জমা দিয়েছেন ২৫ জন। সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণার পর এ্যাডভোকেট শাহাদাত শাহীন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। এদিকে সহ-সভাপতি পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র ক্রয় করলেও ২ জন জমা দেননি। এছাড়া ক্রীড়া সম্পাদক এবং পাঠাগার সম্পাদক পদে কোন প্রার্থী মনোয়নপত্র ক্রয় করেন নি। অপর দিকে সদস্যদের চাঁদা পরিশোধ না করায় এবং গণমাধ্যমের স্থায়ী নিয়োগপত্র না থাকায় যাচাই বাছাইকালে অবশিষ্ট ৮টি পদের ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল হয়। ফলে ১১টি পদের প্রত্যেকেই বিনা প্রতিদ্বিতায় জয় লাভ করেন। সোমবার বিকেলে ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন, সদস্য ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার দোস্ত মাহমুদ এবং অপর সদস্য অ্যাডভোকেট মো: নুরুল আমিন নুরুন্নবী ১১ প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ভোলা প্রেসক্লাবের ২০২১-২২ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় এবং তাদের কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী না থাকায় তাদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ সুত্র আরও জানায়, তফসিল ঘোষণার পর সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ক্লাবের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে কিছু বিধি বিধান রচনা করা হয়। ওই বিধির মধ্যে ছিল মনোনয়নপত্রের সাথে ক্লাবের হালনাগাদ সদস্য চাঁদা পরিশোধের রশিদ এবং কর্মরত গণমাধ্যমের নিয়োগপত্র কিংবা প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। এই শর্ত পূরন করতে না পারায় অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।