বিশেষ প্রতিনিধি:
ভোলা সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নে বাড়ির সামনে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় স্কুল শিক্ষিকার পরিবার কে কুপিয়ে জখম করে বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর করেছে স্থানীয় মাদকসেবিরা।
এসময় মাদক সেবীর হামলায় স্কুল শিক্ষিকাসহ একই পরিবারের মোট ৪জন গুরুতর আহত হয় এবং এলাকাবাসী সহয়তা ভোলা সদর হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা।
শনিবার (০৩ জুলাই) আনুমানিক ১২টার দিকে বাপ্তা ইউনিয়নের হাজিরহাটে এ ঘটনা ঘটে বলে তথ্যসুত্র জানায় আহতরা।
এব্যাপারে ভোলা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আহতদের পরিবার।
ঘটনার বিবরনে আহত স্কুল শিক্ষিকা জানান, ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রাজিব লোকজন নিয়ে শুক্রবার রাতে মালার বাসার সামনে মাদক সেবন করছিলো।
মালার স্বামী গিয়াসউদ্দিন বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাসার সামনে মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন।এবংবমাদক সেবনে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার আনুমানিক ১২টার দিকে মাদক ব্যবসায়ী রাজিব ও তার পিতা মনির হোসেন দেশীয় অস্ত্র দা বগি দা নিয়ে স্কুল শিক্ষিকা সুলতানা লাইজু মালার বাসায় হামলা চালিয়ে তাদের কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এসময় মনির ও রাজিব ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে সুলতানা লাইজু মালা ও তার স্বামী গিয়াসউদ্দিন, ছেলে জোবায়ের আলম দোলন ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
একপর্যায়ে মাদক সেবীর হাত থেকে বাঁচতে আহত গিয়াসউদ্দিন চিৎকার করলে,স্থানীয় লোকজন এসে ঝড়ো হয়।পরে এলাকাবাসী উপস্তিতি টের পেয়ে হামলাকারী মনির ও রাজিব দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত স্কুল শিক্ষিকা সুলতানা লাইজু মালা, গিয়াসউদ্দিন, জোবায়ের আলম দোলনকে রক্তাক্ত জখম অবস্থা উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
আহত স্কুল শিক্ষিকা মালা আরো বলেন, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মনির ও রাজিব আমাদেরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমরা উধর্তন কর্তৃপক্ষ সহ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনির ও রাজিবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
উক্ত ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ভোলার বাপ্তায় স্কুল শিক্ষিকার পরিবারের উপর হামলার ঘটনা শুনেছি। এ ব্যাপারে এখনো ভুক্তভোগী অভিযোগ করেনি।
অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।