পল্টন প্রতিনিধিঃ আরশাদ চৌধুরী
মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। মহামারি করোনা’র অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোন মানে হয়না। করোনার ভয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষাজীবনকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। সরকারের এ অদূরদর্শী এ সিদ্ধান্তের কারণে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়বে যা একটি দেশের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
গতকাল বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় মজলিসে আমেলার জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম মহাসচি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম ও অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, বরকতউল্লাহ লতিফ, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, শেখ ফজলুল করীম মারূফ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মাওলানা নেছার উদ্দিন প্রমুখ।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ শিক্ষা ব্যবস্থার চলমান অচলাবস্থা নিরসন করে যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত পূর্বক অনতিবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জোরালো দাবি জানান। তিনি বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের অজুহাতে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও হাট-বাজারসহ অধিক লোক সমাগমের সকল স্থানই উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এতে শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষার্থীদের মেধাকে জীবন্ত কবরস্থ করা হচ্ছে।
ইউনুছ আহমাদ আরো বলেন, দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অনেকেই অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যাচ্ছে, অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, অনেকই অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে, যা অভিভাবকসহ সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য সীমাহীন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ অবসরে থাকার দরুণ শিক্ষারা ফ্রি ফায়ার ও পাবজি’র মতো এমন সব জীবন বিধ্বংসী গেমসে আসক্ত হয়ে পড়েছে যা তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।
তিনি শিক্ষার্থীদের যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত পূর্বক অতিদ্রুত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন, অন্যথায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থার সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে ও শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।