মোঃ এমদাদুল হক, স্টাফ রিপোর্টার।
ময়মনসিংহ জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি (২২২ জন) রয়েছে। শুধুমাত্র গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড ইউনিটে রোগী ভর্তি হয়েছে ৭৮ জন। বেশিরভাগ রোগীই গুরুতর অসুস্থ এবং ইতোমধ্যে কোভিড ইউনিটে শয্যার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি আছে।
আইসিইউ এর মোটামুটি সবগুলো বেডেই রোগী আছে। এছাড়া ফ্লু কর্নারে প্রতিদিন কয়েকশত রোগী জ্বর-কাশি ইত্যাদি উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
এত সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড ওয়ার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত করতে হচ্ছে। ফলে নন কোভিড ওয়ার্ডেও জনবলের সংকট দেখা দিচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতেও মানুষের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা সকলে মিলে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, জনসাধারণ যদি সতর্ক না হয় এবং কোভিডের সংক্রমণ যদি এভাবেই অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা যত প্রস্তুতিই নেই না কেন তা অপ্রতুল হতে বাধ্য।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো কোভিডের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা। সেলক্ষ্যে গতকাল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে হয়তো অনেকেই কষ্টের সম্মুখীন হবেন। তবে আমরা যদি এই মহামারী থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে এর কোন বিকল্পও নেই।
যদি জনসাধারণ সচেতন হয় এবং লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলে তাহলে লকডাউন কার্যকরী হবে। এছাড়া লকডাউনের সুফল পেতে হলে লকডাউন পরবর্তী সময়েও জনগণকে স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
নতুবা আমরা এমন একটা পরিস্থিতির সম্মুখীন হবো যেখানে কোভিড এবং নন কোভিড সকল রোগেই মানুষ বিপন্ন বোধ করবে।
আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতনতা বোধ করি এবং বাংলাদেশকে কোভিড মুক্ত করি।