বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা
ঢাকা ১৪ আসনের অন্তর্গত দারুস সালাম থানা । চাঁদাবাজ আর ক্রাইম জোনেভরা। দারুস সালাম থানার যতগুলো চাঁদাবাজির স্পট রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শাহ আলী মাজার সংলগ্ন কাঁচামাল বেড়িবাঁধের আরদ।
কাঁচামালের আর ওদের আশপাশে ফুটপাত টং দোকান ও শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান ও তার পাশে সিটি কলোনী।
এখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিম্নমানের কর্মচারীদের বসবাস। এই সিটি কলোনির বাসিন্দাদের দীর্ঘ ১২ বছর যাবত চলছে অত্যাচার জুলুম নির্যাতন। এখানে জোরপূর্বক ডিস লাইন নেট সংযোগ ও বিদ্যুতের লাইন সংযোগ নিতে হয়। নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের প্রতি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার চলে নির্যাতন। সিটি কলোনির ভিতরে কবরস্থানের খালি জায়গার মধ্যে রিক্সা ভ্যানের গ্যারেজ এবং তাতে চলে ভাড়ায় নামে চাঁদাবাজি।
কবরস্থানে দাফন করতে আসা লোকদের পড়তে হয় মহাবিপদে। সরকারি নিয়মের বাইরে তাদের গুনতে হয় আলাদা টাকা। এবং কবর দেওয়ার পরেও মাসে মাসে তাদের টাকা না দিলে সে কবরে কোন যত্ন হয় না। কবরস্থানের কর্মচারীর বাইরে দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল করিম খোকন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ভাগিনা জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য দারুসসালাম থানার দালাল সিকদার , ১০ নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারী বিএনপি’র ক্যাডার আলিফ, স্বপন সহ পঁচিশ ত্রিশ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল সবসময় সিটি কলোনী ঘিরে রাখত।
তাদের মাধ্যমেই সকল প্রকার কার্যকলাপ হতো। তাদের কথা না শুনলে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। অপরদিকে ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু তাহের এবং ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুজিব সরোয়ার মাসুম। এই দুই কাউন্সিলারের সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অত্যাচারিত করত। এই ত্রিমুখী সন্ত্রাসী বাহিনীর মধ্যেই কাটাতে হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সিটি কলোনী বাসিন্দাদের। বর্তমানে ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক এর মৃত্যুর পর সিটি কলোনীর অধিপত্য নিয়ে চলে বিভিন্ন প্রকার গ্রুপিং লবিং।
অবশেষে ২৬/০৬/২০২১ তারিখে রাতের অন্ধকারে কাউন্সিলর আবু তাহের ও মুজিব সরোয়ার মাসুমের নির্দেশে ঘোষণা করা হয় সিটি কলোনি মসজিদ কমিটি । এই সিটি কলোনি মসজিদ কমিটির যাদের দ্বারা ঘোষণা করা হয় তাদের মধ্যে প্রধান হচ্ছে সভাপতি ওমর আলী। সে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে অন্য জগতে চলে যায় মদ ও নারী নিয়ে ব্যস্ত থাকে । এই মসজিদ কমিটির নামে আগের বাহিনী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এনামুল করিম খোকন গংদের উচ্ছেদের পাঁয়তারা চলে।
এসব মিলিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবি স্মৃতি কলোনির বাসিন্দা এখন ভয়ে আতঙ্কিত। এই সিটি কলোনি প্রতিদিন সবমিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা উঠে ।আরএই চাদার ভাগ নিয়ে প্রায় রাতেই চলে এইসব সন্ত্রাসী গ্রুপের ঝগড়া। সিটি কলোনির বাসিন্দারা এখন এইসব চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি। এইসব চাঁদাবাজের হাত থেকে তারা মুক্তি চায়। কাউন্সিলর মজিদ সরোয়ার মাসুম ও কাউন্সিলর আবু তাহের এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এনামুল করিম খোকন গংদের এখান থেকে উচ্ছেদ করতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে ধারণা এলাকা বাসীর।
তাদের এইসব চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যেকোন সময় যেকোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে মনে করেন তারা। এছাড়া সিটি কলোনির গরিব নীরব বাসিন্দাদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার লক্ষ্যে দারুস সালাম থানা প্রশাসনসহ ঢাকা ১৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপের খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। দ্রুত হস্তক্ষেপ না করা হলে এখানে যেকোন সময় যেকোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এই বিষয় ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মুজিব সরোয়ার মাসুম কে ফোন করলে তিনি দৈনিক আমাদের সংগ্রামকে, বলেন এসব পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে লিখে আমার কিছুই করতে পারবেনা। এ-সব পত্রিকার বেলু নেই জাতীয় পত্রিকা লেখে আমার বিরুদ্ধে তা-ই আমি পাত্তা দেইনা। বলে তিনি খুব ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে থানায় দেন তারা কিছু করতে পারলে কিছু করুক।
এই বিষয় অভিযোগ অস্বীকার করে ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আবু তাহের, দৈনিক আমাদের সংগ্রামকে বলেন আমি কোন চাঁদাবাজি করিনা যদি চাঁদাবাজি করতাম তাহলে সবাই চাঁদাবাজি করতো আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি কোন চাঁদাবাজি করিনা। এই বিষয় আরেক অভিযুক্ত, দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল করিম খোকন
দৈনিক আমাদের সংগ্রামকে, বলেন আমি একজন সাধারণ কর্মী মাত্র আমার বাবা একজন মুক্তিযুদ্ধা আমার বাবার পেনশনের টাকা দিয়ে কোন রকম একতলা বাড়ি করেছি আমি যদি চাঁদাবাজি করতাম তাহলে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক থাকতাম। এই মিরপুরে অবহেলিত ৫ জন কর্মী থাকে তাহলে আমি তাদের মধ্যে একজন,
আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, এখন আমাদের মিন্টু ভাই এমপি হয়েছে যদি সৎ পথে কিছু করতে পারি।
আমি তাহের কমিশনারের মতন এত উদার মনের কমিশনার দেখিনি।
এবং তাকে বাহিনী নিয়েও চলতে দেখিনি।
এই প্রতিবেদক কাউন্সিলর আবু তাহের সম্পর্কে সম্পূর্ণ মনগড়া কাহিনি লিখেছে। নিশ্চয় কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী কোন কুলাঙ্গারের ইশারায় এটা লেখা হয়েছে। ১০ নং ওয়ার্ডের কোন মানুষ কাউন্সিলর আবু তাহের সম্পর্কে এমন কথা বলা বা বিশ্বাস করবেনা।
বিগত ১২ বছর এর রাজনৈত মাঠে চাঁদা বাজী সবাই করছে ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল কে কোন দিন ও রাস্তার কোন ফুটপাত এ আসতে ও দেখা যায় নাই। আর আল্লাহ তাকে কম দেয় নাই। তার চাঁদা বাজী করার কোন দরকার নাই সে সব সময় গরীব দের সাহায্য করে?