মোঃ সিরাজুল মনির চট্টগ্রাম ব্যুরো।
অনেকটা ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। এক প্রকার উদ্বেগ উৎকণ্ঠার নির্বাচন ও বলা চলে এটাকে। নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে হামলা ভাঙচুর এর মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে এক প্রকার ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়াতে ভোটের দিন এর সহিংস রুপ নিতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
রিটার্নিং অফিসার হাসানুজ্জমান বলেন, কোন পক্ষ যাথে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন সহিংসতা করতে না পারে তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবস্হা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৫ প্লাটন বিজিবি নগরীতে মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে পারে সেদিকে নজর থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারির পাশাপাশি বিজিবি টহলে থাকবে।
পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রচারণায় বাধা, প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা সহ নানান বিষয়ে অনেক প্রার্থী লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে কমিশনে তার কিছু প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্হা ইতিমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। আরো বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সময়মতো তার ব্যবস্হা নেয়া হবে।
বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচনী প্রচারনা শুরুর পর থেকে আমাদের অনেক নেতা কর্মীকে বিনা অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাদা পোশাকদারি লোকজন বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দিয়েছে যাতে কেন্দ্রে না যায়। তিনি আরো বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে বিএনপির সকল প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। কিন্তু প্রতিপক্ষের লোকজন ভোটারদের বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করছে বলে ও তিনি অভিযোগ করেন। নির্বাচন অফিসে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সকল বিষয় নির্বাচন কমিশনে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এগুলোর তেমন কোন সমাধান দেননি। নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারেনি বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেছে। বিএনপি প্রার্থী অনেকগুলো মিথ্যা অভিযোগ করেছে যার কোন ভিত্তি ছিলনা। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে ও তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিএনপি মিছিল থেকে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোট প্রদান করতে সহযোগিতা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে ও তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ভোটাররা বলেন, নির্বাচনী প্রচারনার শুরুর আগে আওয়ামীলীগের দুগ্রুপের মাঝে মারামারি হয়ে তাদের কর্মী নিহত হওয়ার কারণে অনেক ভোটার ভয়ে কেন্দ্রে নাও যেতে পারে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বলেন, নগরীতে নির্বাচন কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্হা নেয়া হয়েছে। যে কোন ধরনের সহিংসতা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।