সাইফুল ইসলাম রামগড় সংবাদদাতাঃ
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ২নং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে প্রতারক মা সাবিনা ইয়াসমিনের পরকীয়া এবং নানান অপকর্মের বাধাঁ দেওয়ার ফলে নিজের আপন ছেলে মোঃদাউদুল ইসলাম (রানা)কে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া এবং পরকীয়ার সুবিধার্থে ছেলের বৌকে সহ ঘর থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রতারক, ছলনাময়ী ও কল গার্লস হিসেবে এলাকা এবং বাহিরে পরিচিত সাবিনা ইয়াসমিন, পাতাছড়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিনের ২য় মেয়ে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে।
সাবিনা ইয়াসমিন এর ছেলে দাউদুল ইসলাম রানা (২৩) লিখিত একটি অভিযোগে বলেন আমার মা দীর্ঘদিন যাবৎ নানান কুকর্মের সাথে জড়িত,ও একাধিক পরকীয়ায় আসক্ত এলাকা এবং এলাকার বাহিরে,তার অনেক খারাপ কাজের রেকর্ড রয়েছে। আমি মায়ের এসব কুকর্মের এবং পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার ফলে তিনি আমাকে দীর্ঘদিন মানসিক শারীরিক যন্ত্রণা দিয়ে আসতেছে,এক পর্যায় সে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে;এখন সুনতেছি আমার নামে পাতাছড়া ইউপিতে মায়ের বর্তমান পরকীয়ার স্বামী হাসান সিকদার এর প্ররোচনায় (মাকে মেরে ঘর থেকে বের করে দিয়েছি)এমন মিথ্যা বানোয়াট একটি অভিযোগ দাখিল করে হেনেস্থা করার জন্য অভিনয়ের আশ্রয় নিয়েছে। এবং আমাকে পুর্বের এবং বর্তমানের কুকর্মের বাধা দেওয়াতে ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ইতিপুর্বে তিনি আমাকে দারালো চেনী দিয়ে কোপাতে আক্রমণ করেছিলেন যা এলাকার মানুষের নজরে রয়েছে। আমাদের বাড়িতে সময় অসময়ে অনেক যুবকের যাতায়াত ছিলো আর এসবের বাধা দিলে, মায়ের নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয় আমাকে, বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি , এবং মায়ের এমন লজ্জাকর অশালীন চলাফেরা বন্ধ করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ইতি মধ্যে আমি সমাধানের লক্ষে ২নং ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি,এবং রামগড় থানায় সাধারণ ডাইরি করতে গেলে কর্মরত ডিউটি অফিসার আমার অভিযোগ নিতে অনিহা প্রকাশ করেন,পরে বিষয়টি বুঝিয়ে বলাতে লিখিত অভিযোগটি গ্রহন করেন।মা তার কুকর্ম ডাকা দিতে আমাকে মেরে ফেলার জন্য বাহিরের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের সাহায্যের আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে আমি ভয়ে আতঙ্কে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নিয়ে আমি নানা কামাল উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা কামাল উদ্দিন জানান মেয়ে এবং মেয়ের স্বামীকে আমার বাড়ির পাশে জমিতে ঘর করে থাকার জন্য জায়গা দিয়েছি,বেশ কিছুদিন বসবাস করার পর সাবিনার সাথে তার স্বামীর নানা সমস্যার ঘটনা ঘটে। এর পর স্বামী সাথে সংসার করবেনা বলে অযুহাত তোলে।দীর্ঘদিন সে তার মতে চলাফেরা করছে,এলাকার মানুষ বাবা হিসেবে মেয়ের বিষয়ে অনেক কথা আমাকে বলতো,আমি এসব লজ্জাকর বিষয়ে কিছু বলতাম না,ঠিক হয়ে যাবে এই মর্মে।কিন্তু সে এমন পর্যায় চলে গেছে যে তার নিজের ছেলেমেয়েকে পর্যন্ত মেরে ফেলতে পারে, বর্তমানে সে খুবই জগন্ন হয়ে গেছে।তার বর্তমান বিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
সরেজমিনে গিয়ে সমাজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনতাজ উদ্দিন,নজরুল,নাছির, আলম সহ স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে সাবিনার চরিত্র ভালো না,সে একজন নারী প্রতারক, তার কারণে এলাকার যুব সমাজ হুমকি “র মুখে,সে একাধিক যৌন ও পরকীয়ার সাথে জড়িত যাকে যখন ভালো লাগে,তাকে তখন সে ব্যবহার করে।তার প্রতারণার জালে অনেকেই হয়রানির শিকার হয়েছে,বর্তমানে নানা কৌশলে বরিশালের এক ছেলে অপসোনিন ফার্মার (এনিমেল ডিবিশন) হাসান সিকদার কে প্রেমে ফাঁসিয়ে নামকা অবস্থায় বিয়ে করে সংসার করছে, কিছুদিন পর তাকে বাদ দিয়ে আবার নতুন আরেকজন আনবে এটাই তার নেশা। কিছু দিন আগেও রামগড় হাসপাতালের সামনে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী আটক করেছিলো তাকে।সাবিনার কাজই হচ্ছে প্রেমের ফাঁদে ফেলে যুবকদের মাথা নষ্ট করা,আর অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
অভিযুক্ত সাবিনা ইয়াসমিন কে এবিষয়ে জানতে একাধিকবার তার মুঠোফোনে কল দিয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সাবিনার পুর্বের স্বামী সেলিম এবিষয়ে জানান সাবিনার অতিত খুবই ভয়ংকর ছিলো যা রামগড় এবং পাতাছড়া বাসী কমবেশি জানেন,তার কুকর্মের বাধা দেওয়ার ফলে তার সাথে আমার দুরত্ব সৃষ্টি হয় সে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে সবার কাছে বললেও ডিভোর্সের কোন কপি আমি পাইনি ।গত ৪বছর তার সাথে আমার সংসার হচ্ছে না শুধুমাত্র তার কুকর্মের কারণে। তার সাথে আমার বর্তমানে কোন যোগাযোগ নেই,তবুও সে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। ছেলে তার বিভিন্ন পরকীয়ার বিষয়ে জানতে পেরে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এদিকে বর্তমান স্বামী হাসান সিকদারকে ফোন দিলে তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
২নং পাতাছড়া ইউপি”র চেয়ারম্যান মনিন্দ্র ত্রিপুরা জানান সাবিনা ইয়াসমিন কিছুদিন পুর্বে তাদের পারিবারিক বিষয়ে একটি অভিযোগ পরিষদে দিয়েছে।,আবার কয়কদিন পরে সাবিনার ছেলে দাউদুল ইসলাম (রানা )মায়ের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। করোনার কারণে তাদের ডাকা হয়নি। পরে শুনেছি এবিষয়ে রামগড় থানায় বৈঠক হয়েছে সমাধান কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।
এদিকে সাবিনা ইয়াসমিনের বড় ভাই আজাদ জানান,সাবিনা তার অতিতের এবং বর্তমানের কুকর্ম বিভিন্ন পরকীয়ার বিষয়ে ডাকা দেওয়ার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে ২৮/৭/২০২১তারিখে ডাকাতি,চুরি সহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দেন রামগড় থানায়। সাবিনা একজন অর্থলোভী প্রতারক মেয়ে সে এলাকা এবং এলাকার বাহিরে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত,সে অনেক মানুষের টাকা আত্মসাত করেছে,এখন নিজের আপন বোনদের প্রায় ৩লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃশামসুজ্জামান বলেন মা ও ছেলের সমস্যা নিয়ে ২টি অভিযোগ থানায় এসেছিল এবিষয়ে তদন্ত চলতেছে।তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে হাবিবা মজুমদার বলেন পরকীয়ার বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক। এটা সামাজিক সমস্যা,সামাজিকভাবে বসেই দ্রুত সমাধান করলে সবার জন্য মঙ্গল হয়।
উল্লেখ যে পাতাছড়া ইউপি”র স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি”র সদস্য মোঃ কামাল উদ্দিনের ২য় মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে রামগড় পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ গর্জন তলীর স্থানীয় বাসিন্দা মৃত ইসহাক আহমেদ এর বড় ছেলে মোঃ আনোয়ার সেলিমের সাথে ২০০০সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়,সংসার জীবনে তাদের সংসারে ১ছেলে ২মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার ছিলো,হঠাৎ সাবিনার কুনজর এবং কঠিন পরকীয়ার সাথে জড়িত হয়ে পড়েন।তার কারণে ২০০৭সালে পারিবারিক ও সামাজিক বিচারের মাধ্যমে কিছুটা সমাধানেও আসে।এর পরও নানা অযুহাতে সাবিনা মিথ্যা মামলা দিয়ে সেলিমকে জেলহাজতে পাঠিয়ে।আজাদ নামে এক যুবকের সাথে পরকীয়া করে তাকে নিয়ে সিলেট পালিয়ে যায়। যে মিথ্যা মামলায় সেলিমকে জেলহাজতে পাঠানো হয় পরে তা তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা প্রমাণিত হলে সেলিমের জামিন হয়।প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স না দিয়েই ২য় স্বামীর সংসার করছে বলে ১ম স্বামীর অভিযোগ।
ব্রিঃদ্রঃএই নিউজের সকল লিখিত অভিযোগ পত্র এবং পরকীয়ার ভিডিও ছবি সহ দৈনিক মানবাধিকার ক্রাইম বার্তা পত্রিকার সংরক্ষণে আছে।
এসব মেয়েদের কঠিন বিচার হওয়া উচিত।