সাইফুল ইসলাম,রামগড় সংবাদদাতাঃ
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন চলমান রয়েছে। সব ধরনের যন্ত্রচালিত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। খোলেনি দোকানপাট। লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃংখলাবাহিনীর কড়াকড়িতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির রামগড়ে রাস্তাঘাট ফাঁকা দেখা গেছে। সড়কে পুলিশ,বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন।
রামগড়ের বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ, এসময় দেখা যায় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি আটকিয়ে জেরা করছে,বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা।শুক্রবার (২জুলাই ২০২১ ইং) রামগড়ের বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া লকডাউনের এমন চিত্রই দেখা যায়।
সড়কে জনসাধারণের উপস্থিতি নেই তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা গেলেও সেই সংখ্যা একেবারেই কম। যদিও অলিগলিতে কিছু চায়ের ও মুদি দোকান খোলা রয়েছে। মুদি দোকানগুলো সার্টার অর্ধেক খোলা রেখে চলতে দেখা গেছে। কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতা খুব একটা দেখা যায়নি।
সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, ও আনসার ভিডিপি”র সদস্যরা। লক্ষ্য করা গেছে অন্য দিনের তুলনায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অতি জরুরি প্রয়োজনে ‘বিধিনিষেধের’ সময় বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না। পুলিশ জানিয়েছে, বিনা কারণে বাড়ির বাইরে গেলেই গ্রেফতার করা হবে।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু,মাহমুদ উল্লাহ মারুফ জানান করোনার প্রাদুর্ভাব আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে,প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা ভাইরাস থেকে বাচঁতে মাস্ক ব্যাবহার সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন,লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মানলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে,তিনি আরো জানান সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি সিদ্ধান্তে কোন ছাড় দেওয়া হবে না আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আমরা আরো কঠোর হবো।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩০ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ২১টি শর্ত দিয়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসররকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল দোকানপাট বন্ধ থাকবে, খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা। জনসমাবেশ হয় এমন কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।