মোঃরইচ উদ্দিন সুজন সুবর্নচর নোয়াখালী প্রতিনিধি।
“গর্বিত সুবর্নচর বাসী”
জাহিদুর রহমান, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্বচরবাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এটিএম লূৎফুর রহমান ও আনোয়ারা বেগম দম্পতির ৭ সন্তানের মধ্যে তিনি পঞ্চম। তার বাবা ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে শিক্ষকতা পেশায় নিয়জিত ছিলেন । বর্তমানে তিনি অবসরে আছেন। এখনো এলাকায় ধর্মীয় শিক্ষাসহ সমাজ সেবামূলক নানা কাজে যুক্ত রয়েছেন।
জাহিদ বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি, একই কলেজ থেকে এইচএসসি ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
জাহিদুর রহমান নোয়াখালীর স্থানীয় ‘লোকসংবাদ’ পত্রিকায় ২০০২ সালে ‘তৃণমূল সংবাদকর্মী’ হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। কাজের ধারাবাহিকতায় ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে ‘চলমান নোয়াখালী’তে স্টাফ রিপোর্টার এবং ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক ‘জাতীয় নিশানে’ বার্তা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর জাহিদ ২০০৯ সালে ঢাকায় চলে আসেন। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত নিউজ এজেন্সি ‘ফোকাস বাংলা’য় সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ২০১০ সালে তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘শীর্ষ নিউজ ডটকমে’ একই পদে যোগদান করেন। এরপর তিনি ২০১১ সালের শেষের দিকে ‘দৈনিক স্টক বাংলাদেশ’, ‘স্বাধীন মত’ ও ‘বাংলামেইল’-এ সহ-সম্পাদক পদে কাজ করেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৩ সালের মার্চে সহ-সম্পাদক পদে ‘সমকালে’ যোগদান করেন। চলত মাস থেকে তিনি সমকালে স্টাফ রিপোর্টার পদে কাজ করছেন। সমকালের পাশাপাশি বিভিন্ন সাময়িকীতে লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন তিনি।
দেশের গ্রামীণ জীবনযাত্রা নিয়ে অনুসন্ধানী ও সৃজনশীল প্রতিবেদনের জন্য ‘গ্রামীণ সাংবাদিকতা’ ক্যাটাগরিতে তাকে এই পদক প্রদান করা হচ্ছে। গত বছর ‘হাওরের কান্না’ শিরোনামে সমকালে প্রকাশিত চার পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন পদকের জন্য নির্বাচিত হয়।
প্রতিবছর মহামান্য রাষ্ট্র্রপতি বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন। এবার করোনার কারণে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেবেন। শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তথ্য ভবনে দেয়া হবে পদক। অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী, হাইকোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত থাকবেন।